বাখমুতের অলিগলিতে যুদ্ধ, শহরের নিয়ন্ত্রণ পায়নি রাশিয়া

Looks like you've blocked notifications!
যুদ্ধ শুরুর পর বাখমুত শহর থেকে ৯৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ছবি রয়টার্স

রাশিয়া ও ইউক্রেনের সৈন্যরা বাখমুত শহরের রাস্তা এবং অলিগলিতে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে, তবে সেখানকার ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন রাশিয়া এখনও পূর্বাঞ্চলীয় এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।

ডেপুটি মেয়র ওলেকসান্দ্র মার্চেনকো জানিয়েছেন, শহরে থেকে যাওয়া প্রায় চার হাজার বেসামরিক লোক গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি ছাড়াই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহরের একটি ভবনও রেহাই পায়নি, বাখমুত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।’

গত কয়েক মাস ধরেই বাখমুতে যুদ্ধ চলছে। শহরটি কব্জা করতে চাইছে রাশিয়া। এ প্রসঙ্গে মার্চেনকো আরও বলেন, ‘শহরের কাছাকাছি সংঘর্ষ চলছে, এমনকি অলিগলিতেও ছড়িয়ে পড়েছে লড়াই।’

ইউক্রেন যুদ্ধে এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে তা হবে সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে রাশিয়ার অন্যতম সাফল্য। তাছাড়া কৌশলগত মূল্য হিসেবেও বাখমুতকে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন এই বিজয় হতে পারে রাশিয়ার দেওয়া চড়া মূল্যের চেয়ে কম।

বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কয়েক হাজার রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে। ৭৫ হাজার অধিবাসীর এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে রাশিয়া তাদের দেওয়া সংখ্যার চেয়ে সাত গুন বেশি সৈন্য হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের কমান্ডাররা।

মার্চেনকো অভিযোগ করে আরও জানান, শহরটি রক্ষায় রুশ সেনাদের কোনো লক্ষ্যই ছিল না, তারা চেয়েছে ইউক্রেনের জনগণের ওপর গণহত্যা চালাতে। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে শহরটি সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, সব সেতু ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। রুশ বাহিনী বাখমুতকে মূলত শুষ্ক শহরে পরিণত করতে চাইছে।’

বাখমুত শহরের পতনের বিষয়ে বেশ কিছুদিন থেকে আশঙ্কা করা হলেও গত ছয় মাসে তা ঘটেনি। তবে সেখানে কী ঘটছে এ বিষয়ে স্বাধীন কোনো সূত্র তথ্য দিতে পারছে না। কিন্তু ইউক্রেনের কমান্ডাররা হিসেব করে দেখছেন শহর রক্ষায় রক্ত আর সম্পদের কথা বিবেচনা করলে তা হবে অনেক বেশি। অন্যদিকে রুশ সেনাদেরও এ যুদ্ধে হয়েছে সাংঘাতিক ক্ষয়ক্ষতি।