বিদেশি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো বালি দ্বীপ

Looks like you've blocked notifications!
ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম প্রধান পর্যটন এলাকা বালি দ্বীপে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। ছবি : সংগৃহীত

করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস পর ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম প্রধান পর্যটন এলাকা বালি দ্বীপে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে এখনই দ্বীপটিতে সরাসরি যেতে পারবেন না বাইরের দেশের পর্যটকরা।

বালিতে যেতে হলে বিদেশি পর্যটকদের প্রথমে নামতে হবে জাকার্তা বা দেশটির অন্য কোনো শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তারপর সেখান থেকে তারা দ্বীপটিতে যেতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দ্বীপটিতে সরাসরি পর্যটকদের অবতরণ করতে না পারার কারণ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দ্বীপের এনগুরাহ রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি মেরামতের কাজ চলছে। সেটি শেষ হলেই বাইরের দেশ থেকে সরাসরি বালিতে এসে পৌঁছাতে পারবেন বিদেশি পর্যটকরা।

স্বচ্ছ জলের সৈকত, সার্ফিং, মন্দির, ঝরনা ও জাঁকজমকপূর্ণ নৈশকালীন উৎসবের জন্য বিখ্যাত ইন্দোনেশিয়ার প্রধান এই পর্যটন দ্বীপে মহামারির আগ পর্যন্ত প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ বিদেশি পর্যটক আসতেন। তবে করোনা সংক্রমণ রুখতে গত ১৮ মাস বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ থাকায় প্রায় ধ্বংসের মুখে পৌঁছেছে দ্বীপটির পর্যটন খাত।

দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটকদের অনুপস্থিতির কারণে গত ১৮ মাসে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতির শতকরা হার ৫৪ শতাংশ।

বালির সবচেয়ে বিখ্যাত সৈকত কুটায় গত বৃহস্পতিবার দেখা গেছে, দোকান ও পানশালাগুলো খোলা আছে, তবে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। ইয়োনান (৫২) নামের এক ট্যাক্সি ড্রাইভার রয়টার্সকে বলেন, ‘মহামারিতে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখন আমাদের বাঁচার আশা একটিই- বিদেশি পর্যটক।’

বুধবার এক ঘোষণায় চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলসহ ১৯টি দেশের পর্যটকদের ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।

ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করা পর্যটকদেরই কেবল ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে এবং প্রবেশের পর বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বিদেশি পর্যটকদের।