বুরকিনা ফাসোতে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ১৩০

Looks like you've blocked notifications!

আবারও ভয়ংকর জঙ্গি হামলার শিকার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় একটি গ্রামে সশস্ত্র হামলায় ১৩২ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এই হামলাকে ভয়াবহতম বলছে দেশটির সরকার। ভয়াবহ হামলার পর সে দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে । সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।।

এরই মধ্যে জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গি সংগঠন ভয়ংকর এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

এক বিবৃতিতে বুরকিনা ফাসো সরকার জানিয়েছে, জঙ্গিরা হঠাৎ করেই নাইজার দেশসংলগ্ন ইয়াগহা প্রদেশের সোলহান গ্রামে হামলা চালায়। একেবারে রাতের অন্ধকারে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই হামলা চলে। এরপর গ্রামের বাড়িঘর ও বাজার জ্বালিয়ে দেয় জঙ্গিরা। যার ফলে ঘুমন্ত অবস্থাতেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পালানোর সুযোগ পায়নি কেউ। এ ঘটনায় বুরকিনা ফাসো সরকার তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। অর্ধনমিত রয়েছে সে দেশের পতাকা।

আলজাজিরার প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, একটা সময় পশ্চিম আফ্রিকার এসব অঞ্চলে বোকো হারামের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর ক্ষমতা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু একাধিক দেশের সঙ্গে জোট বেঁধে লাগাতার বোকো হারামের ওপর চলে হামলা। তাতে কিছুটা হলেও দুর্বল হয়ে পড়ে বোকো হারাম। তবে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতে আফ্রিকার বুরকিনা ফাসো, মালি এবং নাইজার এলাকায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী—আল কায়েদা ও আইএস নতুন করে শক্তি বাড়িয়েছে। তাতে যোগ দিয়েছে বোকো হারামের মতো সংগঠন। তাতে শক্তি বেড়েছে। আর সেই শক্তির জানান দিতেই বুরকিনার ফাসোর এই হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বুরকিনা ফাসো পশ্চিম আফ্রিকার একটি ল্যান্ডলকড (চারপাশে স্থলভূমি) দেশ। অত্যন্ত দরিদ্র এবং নিরক্ষতায় সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশের মধ্যে বুরকিনা ফাসো অন্যতম।

বার বার জঙ্গিদের নিশানা হয়েছে দেশটি। তথ্য বলছে, গত দুই বছরে একের পর এক জঙ্গি হামলার জেরে দেশটির ১৪ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে কয়েক লাখ মানুষের। বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সে দেশে পাঠানো হয়েছে শান্তিরক্ষা বাহিনী। কিন্তু তাতেও থামেনি সহিংসতার ঘটনা।