বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রাশিয়ার

Looks like you've blocked notifications!
ক্ষেপণাস্ত্রের ছবিটি ফ্রিপিক থেকে নেওয়া

রাশিয়ার মিত্র দেশ বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী বেলারুশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্ত্র মোতায়েন করেছে মস্কো। যে এলাকায় পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে সেটি ন্যাটোভুক্ত দেশের খুব কাছে। বেলারুশে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত এ তথ্য জানিয়েছে। এতে করে উদ্বেগ আরও বেড়েছে পশ্চিমাদের। আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।

রুশ রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের অংশ হিসেবে গতকাল অর্থাৎ, রোববার রাতে অস্ত্রগুলো বেলারুশের পশ্চিম সীমান্তে নেওয়া হয়েছে।’ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রিজলভ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের আপত্তি সত্ত্বেও এটি করা হয়েছে।’

তবে, কোথায় বা কোন এলাকায় কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রগুলো মোতায়েন করা হয়েছে তা নিশ্চিত করেননি গ্রিজলভ। এই দূত বলেন, ‘পহেলা জুলাইয়ের মধ্যে যথাযথ স্থানে অস্ত্রগুলো মোতায়েন হয়ে যাবে।’

বেলারুশের সঙ্গে লিথুনিয়া, লাটভিয়া ও পোল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে। এ তিনটি দেশই সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপে সোভিয়েত সম্প্রসারণ রোধের জন্যই সামরিক জোটটি করা হয়েছিল।

আল-জাজিরা বলছে, গত বছর ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এরপরেই প্রতিবেশী দুদেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। এতে করে গোটা ইউরোপের নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে। এরপর থেকেই সদস্য সংখ্যা বাড়াচ্ছে ন্যাটো। একইসঙ্গে এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া ও পোল্যান্ডে কয়েকগুণ সৈন্য বাড়িয়েছে সামরিক জোটটি।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট ও পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র অ্যালেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো গত শুক্রবার বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার কিছু কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের ভূখণ্ডে মোতায়েন করা হবে। একইসঙ্গে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রাগার স্থাপন করা হবে।’

কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র সীমিত ও তাৎক্ষণিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যবহৃত হয়। যুদ্ধ জয়ে সহায়তা করে এই অস্ত্র। রাশিয়ার কাছে এমন কত অস্ত্র রয়েছে তা স্পষ্ট নয়।