ভারতের পর এবার করোনার নতুন কেন্দ্রস্থল ইন্দোনেশিয়া

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে সম্প্রতি করোনার প্রাদুর্ভাব অনেকটা কমে এলেও মহামারিটি এবার মারাত্মক রুপ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে সম্প্রতি করোনার প্রাদুর্ভাব অনেকটা কমে এলেও মহামারিটি এবার মারাত্মক রুপ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারতকে ছাড়িয়ে বিশ্বে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ দেখল এশিয়ার অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশটি।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, রোববার ২৪ ঘণ্টায় ইন্দোনেশিয়ায় সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার ৪১৬ জন শনাক্ত এবং সর্বোচ্চ এক হাজার ৪১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে একদিনে মৃত্যু এক হাজার ৮০ জন এবং শনাক্ত হয়েছে ৩৮ হাজার জনের ওপরে।

এ ছাড়া ভারতে একদিনে ৩৯ হাজারের বেশি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, করোনাভাইরাসের ধরন ও অবস্থান পরিবর্তন করায় প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন শঙ্কা। এরই মধ্যে বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৯ কোটি ৪৯ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। একই সময়ে বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছে ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জন। এর কারণ হিসেবে করোনার ডেলটা ধরনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এশিয়ায় করোনা মহামারির নতুন কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া। মহামারিতে বিপর্যস্ত দেশটির পর্যটন দ্বীপ বালি ও জাভায় দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সংকট। এরই মধ্যে এই দুই দ্বীপসহ ১৫টি অঞ্চলে জারি করা বিধিনিষেধের সময়সীমা রোববার শেষ হয়েছে।

বালির স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কেতুত সুয়ারজায়া স্থানীয় সরকারি সংবাদমাধ্যম অন্তরাকে বলেন, ‘প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। ১৪ জুলাই থেকে আমরা অক্সিজেন-স্বল্পতায় ভুগছি।’ তিনি আরও বলেন, বালির রোগীদের জন্য গত বৃহস্পতিবার দরকার ছিল ১১৩ দশমিক ৩ টন অক্সিজেন।

দেশটির সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ৩২ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮৪ হাজার ৭৬৬ জন। মূলত ডেলটা ধরনের কারণে দেশটিতে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

ইন্দোনেশিয়ায় গত মে মাসের শেষ দিকে করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে দেরি করে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেলটা ভেরিয়েন্ট ধরা পড়ার পর সেখানে এটি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়তে থাকে। শুরুতেই কার্যকর পদক্ষেপ নিলে এই পরিস্থিতি কিছুটা ঠেকানো যেত।