ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নেপালে শোকের ছায়া

নেপালে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে একদিনের শোক পালন করছে দেশটির নাগরিকরা। গতকাল রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন শহর পোখারায় যাবার পথে বিমানটি বিধ্বস্ত হলে কমপক্ষে ৬৮ জন নিহত হয়।
মোবাইল ফোনের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় নেপালের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি পোখারা বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয়। তবে কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। দেশটিতে বিমান বিধ্বস্তের বেশ কিছু অতীত ইতিহাস রয়েছে।খবর বিবিসির।
এদিকে গতকাল রাতে কয়েকশ’ নেপালি সৈন্যের সমন্বয়ে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ সকালে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো প্রতিবেদনে দেখা যায় সেতি নদীর পাশে গিরিসঙ্কটে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অভিযান চালাতে উদ্ধারকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
বিমানের ৭২ জন যাত্রী ও ক্রুর মধ্যে বেশিরভাগই মারা গেছেন তবে অসমর্থিত খবরে বলা হয়েছে দুর্ঘটনায় কয়েকজন বেঁচে গেলেও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে নেপালের প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে আজ সোমবার এক দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে সরকার একটি প্যানেল গঠন করেছে।
বিমান দুর্ঘটনা নেপালে কোনো অস্বাভাবিত ঘটনা নয়, দুর্গম রানওয়ে ও হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেশটিতে মাঝে মাঝেই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। নতুন বিমান কিনতে অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও খারাপ ব্যবস্থাপনার জন্য অতীতে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে মনে করা হয়।

রোববারের দুর্ঘটনায় ৬৮ জন যাত্রীর মধ্যে ১৫ জন ছিলেন বিদেশি নাগরিক। চারজন ক্রুসহ বিমানের ৭২ জন আরোহীর মধ্যে ৫৩ জন ছিলেন নেপালি, পাঁচ জন ভারতীয়, চার জন রাশিয়ান এবং দুই জন কোরিয়ান। এছাড়া আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন ওই বিমানটিতে।