মডার্নার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল ডব্লিউএইচও
মডার্নার তৈরি কোভিড টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় ডব্লিউএইচও। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর দিয়েছে।
দেশে দেশে টিকাদান কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে পঞ্চম টিকা হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল মডার্নার টিকা। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্বদের জন্য মডার্নার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল ডব্লিউএইচও’র প্রতিষেধক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা গোষ্ঠী (এসএজিই)।
ডব্লিউএইচও’র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল মারিয়াঙ্গেলা সিমাও বলেন, ‘বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সরবরাহের লক্ষ্যে গঠিত টিকা তহবিল কোভ্যাক্সের অন্যতম যোগানদাতা ভারতসহ অন্য টিকা উৎপাদকদের সরবরাহে সমস্যা থাকায় টিকার যোগান প্রস্তুত রাখা জরুরি ছিল।’
বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানায়, জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় ওষুধ, টিকা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ সুবিধা সহজলভ্য করতে চায় তারা।
এদিকে, মডার্না এই সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছে, তারা ২০২২ সালের মধ্যে তিনশ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করবে। এ লক্ষ্যে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানায় তারা।
২০২০ সালের শেষ দিকে মডার্নার মতোই একই ক্যাটাগরির ফাইজার-বায়োএনটেকের এমআরএনএ টিকা প্রথমবারের মতো ডব্লিউএইচওর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পায়। পরে একে একে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সেরাম ইনস্টিটিউট ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখনও চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক পর্যালোচনা চালানো হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে জাতিসংঘের এই স্বাস্থ্য সংস্থা।
অন্যদিকে, ভারত নিজেদের দেশে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ দেখে টিকা রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে। সপ্তাহ খানেক ধরে প্রতিদিন নতুন করে তিন লাখ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ভারতে। গতকাল শুক্রবার সে সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। মোট মৃত্যুও দুই লাখ ছাড়িয়েছে এরই মধ্যে।