মারা গেছেন মালির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট কেইটা

Looks like you've blocked notifications!
মালির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইটা। ফাইল ছবি : রয়টার্স

মালির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইটা মারা গেছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা গতকাল রোববার জানিয়েছেন। কেইটার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। সাত বছরের ঘটনাবহুল শাসনের পর, ২০২০ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কেইটা ক্ষমতাচ্যুত হন। খবর রয়টার্সের।

কেইটা তাঁর নামের আদ্যক্ষর ‘আইবিকে’ দিয়ে বেশি পরিচিত। তিনি ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির ক্ষমতায় ছিলেন। ২০২০ সালে ইসলামি বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা বিশাল অঞ্চল দখল করে নিলে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে।

বিতর্কিত নির্বাচন, দুর্নীতির অভিযোগ এবং অর্থনীতির দুরবস্থা মালিতে জনরোষ সৃষ্টি করে। এর জেরে ২০২০ সালে কেইটার পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ রাজধানী বামাকোর রাস্তায় নেমে আসেন।

অবশেষে এক সামরিক অভ্যুত্থানে কেইটা ক্ষমতাচ্যুত হন। সে অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীরাই এখনও মালি শাসন করছেন। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এ নিয়ে কঠোর আপত্তি রয়েছে।

মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলায়ে দিয়োপ বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইটার মৃত্যু সংবাদে অত্যন্ত মর্মাহত। আমি অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হয়ে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’

কেইটার মৃত্যুর কারণটি স্পষ্ট নয়। একজন সাবেক উপদেষ্টা জানান—কেইটা বামাকোতে নিজ বাসায় মারা গেছেন।

কেইটা চিকিৎসার জন্য প্রায়ই বিদেশে ডেতেন। সামরিক অভ্যুত্থানের সময় তাঁকে আটক করে গৃহবন্দি অবস্থায় রাখা হয়। তবে, পশ্চিম আফ্রিকার রাজনৈতিক সংগঠন ‘ইকোওয়াস’-এর চাপে পড়ে তাঁর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে কেইটার মেয়াদের শুরু থেকেই তিনি দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত ছিলেন।

২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রায় সাত কোটি ডলারের অর্থায়ন স্থগিত করে দেয়। সে সময় প্রেসিডেন্টের জন্য চার কোটি ডলার দিয়ে একটি জেট প্লেন ক্রয় এবং সামরিক সরঞ্জামের পৃথক একটি ঋণের বিষয়ে আইএমএফ উদ্‌বেগ প্রকাশ করেছিল।