মার্কিন অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে ইউরোপীয়দের কাছে

Looks like you've blocked notifications!
ইউক্রেনের রিভিনে এক ইউক্রেনীয় যোদ্ধা জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ছবিটি ২০২১ সালে ২৬ মে তোলা। ছবি : রয়টার্স

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকেই ইউরোপীয়দের কাছে মার্কিন অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে। তবে, চাহিদা বাড়লেও বিরাট অর্থের যুদ্ধবিমান, ট্যাংকের মতো অস্ত্র কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না তারা। আর্টিলারি, কাঁধ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের দিকে ঝুঁকছে ইউরোপীয় দেশগুলো। ইউক্রেন যুদ্ধে এসব কম দামি অস্ত্র কার্যকর ভূমিকা রাখায় এদিকেই ঝুঁকছে তারা। আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি বলছে, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, জার্মানিসহ রাশিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশগুলো মার্কিন অস্ত্র ইউরোপেই তৈরি করতে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছে। এমনকি অস্ত্র কিনতেও দ্রুততা দেখাচ্ছে। একইসঙ্গে  চুক্তি বাস্তবায়নে তড়িঘড়ি করছে। সামরিক কর্মকর্তা, অস্ত্র  শিল্পের নির্বাহী ও দেশগুলোর ঊর্ধ্বতনের সাক্ষাতকার পর্যালোচনা করে রয়টার্স এমনটি জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় সামরিক কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্স বলছে, চাহিদা মূলত মৌলিক অস্ত্র এবং গোলাবারুদকে কেন্দ্র করে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫৫-মিলিমিটার আর্টিলারি, বিমান প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ সরঞ্জাম, কাঁধে চালিত জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন।

কমদামী অস্ত্রের পেছনে ইউরোপীয় দেশগুলোর ঝোঁকের কথা জানিয়ে সংবাদ সংস্থাটি বলছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিজেদের শহরগুলোকে রক্ষা করতে ছোট অস্ত্রে সফলতা পাচ্ছে ইউক্রেন। এর জেরে ইউরোপীয় দেশগুলো নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে ও কমদামী অস্ত্রের দিকে ঝুঁকছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ময়দানে অত্যাধুনিক বা কম্পিউটার ভিত্তিক অস্ত্রগুলো কাজে লাগছে না। বরং, আর্টিলারির মতো অস্ত্রই ব্যবহার করা হচ্ছে বেশি।

ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক কওয়েন অ্যান্ড কোং-এর প্রতিরক্ষা নীতি বিশ্লেষক রোমান শোয়েজার বলেন,  যুদ্ধে ইউক্রেনের পুরনো অস্ত্রের বেশি ব্যবহার ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে ভিন্ন পথ দেখিয়েছে। ভবিষ্যতের যেকোনো যুদ্ধের জন্য প্রত্যাশিত তুলনার চেয়ে বেশি পুরনো অস্ত্রের প্রয়োজন।

এই বিশ্লেষক আরও বলেন, বর্তমানে ইউরোপের দেশগুলো জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র বেশি করে কিনছে। এর কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধে এর কার্যকারিতা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউরোপের পাঁচটি দেশ রাউথেয়ন টেকনোলজির ১৫৫-মিলিমিটার আর্টিলারি কিনতে আগ্রহী। ভূখণ্ড থেকে উৎক্ষেপিত এই আর্টিলারি ২০ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ইতোমধ্যে ইউরোপের তিনটি দেশ অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি থেকে অস্ত্রটি কিনছে।