সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়া

মার্কিন নারীরা ধর্ষকের সন্তান জন্ম দিতে বাধ্য হবে : বাইডেন

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট প্রায় ৫০ বছরের ‍পুরোনো গর্ভপাত অধিকার আইনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট প্রায় ৫০ বছরের ‍পুরোনো গর্ভপাত অধিকার আইনের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এতে তিনি স্তম্ভিত। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি এক দুঃখের দিন। দেশ এক চরম ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিপজ্জনক পথে পা রাখল।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে বাইডেন বলেন, ‘আদালত আগে যা কখনোই করেনি, সেটিই এখন করেছে। আদালত বিশেষত, সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে, যেটি বহু মার্কিনির কাছে খুবই মৌলিক একটি অধিকার।’

‘আদালতের রায় এতটাই নির্মম যে, নারীরা একজন ধর্ষকের সন্তানও জন্ম দিতে বাধ্য হবেন,’ বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বাইডেন মনে করেন, ‘রো বনাম ওয়েড’ এমন একটি সিদ্ধান্ত ছিল, যাতে নারীর গর্ভপাতের পথ বেছে নেওয়ার অধিকার এবং অঙ্গরাজ্যের এ বিষয়টি পরিচালনা করার এখতিয়ারের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় ছিল। আর তা বেশির ভাগ মার্কিনির কাছে ‘গ্রহণযোগ্যও’ ছিল।

কিন্তু, এবারের সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ আখ্যা দেন বাইডেন। তবে তিনি বলেন, ‘এখানেই শেষ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে লড়ে যাওয়া মানুষদের এখনও শেষ কথা বলার বাকি আছে।’

বিবিসি জানায়, বক্তব্যের শেষে বাইডেন সবাইকে এবং সর্বোপরি গর্ভপাত বিতর্কের সব পক্ষকে শান্তি বজায় রেখে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। হুমকি, ভয়ভীতি কোনো ভাষা বা কথা নয়।

সবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, তিনি জানেন, তাঁরা (নারীরা) এখন অনেক বেশি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন। এই সময়ে নারীদের কথা শুনবেন, তাঁদের সমর্থন দেবেন এবং পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন বাইডেন।

যেসব অঙ্গরাজ্যে বর্তমানে গর্ভপাতের ওপর কড়াকড়ি আছে, সেখানকার নারীরা চাইলে দেশের অন্য জায়গায় গিয়ে এ ব্যাপারে সহায়তা পেতে পারেন বলে জানান বাইডেন।

বাইডেন বলেন, ‘আমার প্রশাসন এ মৌলিক অধিকারকে সমর্থন করবে। কোনো নারীর ভ্রমণের অধিকারে কোনো কর্মকর্তা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। তা ছাড়া জন্মনিরোধক বড়ি এবং গর্ভপাতের জন্য ওষুধ যাতে নারীরা পান সেদিকে প্রশাসন লক্ষ্য রাখবে।’