মালদ্বীপে পালিয়েও বিপাকে পড়েছেন গোটাবায়া রাজাপাকসে

Looks like you've blocked notifications!
প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালানোর পরই বিজয় উদ্‌যাপনে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় নেমে আসে দেশটির মানুষ। ছবি : রয়টার্স

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট ও গণআন্দোলনের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আপাতত মালদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দিনগত রাতে একটি সামরিক ফ্লাইটে করে মালদ্বীপে পাড়ি জমান তিনি।

তবে, মালদ্বীপে পালিয়েও বিপাকে পড়েছেন গোটাবায়া রাজাপাকসে। মালদ্বীপবাসী ও শ্রীলঙ্কার প্রবাসীরা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করছেন। তাদের দাবিশ্রীলঙ্কার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসেকে মালদ্বীপ থেকে বের করে দেওয়া হোক।

আজ বুধবার মালদ্বীপের টিভি চ্যানেলের প্রধান ডেইলি মিররকে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর দি ইকোনমিক টাইমসের।

এদিকে, শ্রীলঙ্কায় আজ বুধবার সকাল থেকে আবার নতুন করে জনরোষের ছবি সামনে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে ফেলেছে সেনাবাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে জারি হয়ে গেছে জরুরি অবস্থা। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। রয়টার্স বলছে—জরুরি অবস্থার ঘোষণার ফলে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দেশটিকে আরও বিক্ষোভের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

বিক্রমাসিংহের গণমাধ্যম বিষয়ক সচিব দিনুক কলম্বেজ বলেছেন, ‘ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রধানমন্ত্রী (দেশব্যাপী) জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং পশ্চিম প্রদেশে কারফিউ জারি করেছেন।’

প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া দেশ ছেড়ে পালানোর পরই বিজয় উদ্‌যাপনে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় নেমে আসে দেশটির মানুষ। বিসিসি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলম্বোর কেন্দ্রস্থলে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। অনেকেই শহরের প্রধান প্রতিবাদস্থল বলে পরিচিত গল ফেস গ্রিন-এ জমায়েত হন।

তাঁরা পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দেশে মিছিল বের করেন। তবে, পার্লামেন্টের ২০০ মিটার আগেই তাঁদের আটকে দেয় সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। শুধু তা-ই নয়, প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসংঘেরও পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তাঁরা। আজই প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে, বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে ফেলতেই সেনাবাহনী ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়, সঙ্গে লাঠিপেটাও করা হয়। কিন্তু, তাতেও বিক্ষোভকারীদের আটকানো যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দেয়াল টপকে বিক্ষোভকারীদের ভিড় ঢুকে পড়ে।