মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে এশিয়ার কিছু দেশে সুদের হার বাড়ানো জরুরি : আইএমএফ

Looks like you've blocked notifications!
মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বগতি থামাতে সুদ হার বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন আইএমএফের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি : সংগৃহীত

এশিয়ার কিছু দেশে মূল্যস্ফীতির আসন্ন ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে সুদের হার বাড়ানো উচিত বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)। সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন একথা বলেছেন। যদিও তিনি নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক লেখায় কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে। যদিও পৃথিবীর অনেক অঞ্চলের চেয়ে এশিয়ায় মূল্যস্ফীতি ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে। তবে, এশিয়ার কিছু অর্থনীতিকে শিগগিরই ভূমিকা নিতে হবে।”

কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, ‘সুদের হার বাড়ানো হলে একই সঙ্গে সরকার, কোম্পানি ও ভোক্তাদের জন্য বরাদ্দও সংকুচিত হয়ে যাবে। যদিও করোনাকালে এই ভোক্তা, সরকার বা কোম্পানিগুলো বেশ পরিমাণে ঋণ করেছেন। ২০০৭-০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দায় এশিয়ার দেশগুলোর বৈশ্বিক ঋণের পরিমাণ বেড়েছিল ২৫ শতাংশ আর এবার করোনা মহামারিতে এ অঞ্চলের অর্থনীতিগুলোর বৈশ্বিক ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৩৮ শতাংশ।’

শ্রীনিবাসন তাঁর লেখায় নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। তবে, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড ও ফিলিপাইন গত মাসে তাদের মুদ্রানীতিতে ব্যাপক কঠোরতা আরোপ করেছে। দেশগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঋণের বিপরীতে সুদ হার বাড়ানো হয়েছে।

কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, ‘সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করা মোটেই উচিত হবে না। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে এশিয়ার উন্নয়নশীল কিছু দেশের হাত থেকে বেশি পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা বেহাত হয়ে গেছে। এই সময়ে ভারতের ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আমদানিসহ বিভিন্ন খাতে বেহাত হয়েছে।’