মেটাকে রেকর্ড পরিমাণ জরিমানা

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : রয়টার্স

মেটাকে রেকর্ড ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১২০ কোটি ইউরো জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। আজ সোমবার (২২ মে) বিভাগটি থেকে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিকে এই জরিমানা করে। একইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রে না রাখার জন্য পাঁচ মাসের সময় বেঁধে দিয়েছে বিভাগটি। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থাটি জানায়, আয়ারল্যান্ডের ডাটা প্রোটেকশন কমিশনার (ডিপিসি) মেটাকে এই জরিমানা করেছে। এক বিবৃতিতে জরিমানার কথা জানিয়ে ডিপিসি বলেছে, গ্রাহকদের তথ্য গোপনীয়তা নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জরিমানা নতুন নয়। এর আগে ২০২১ সালে অ্যামাজনকে ৭৪ দশমিক ছয় কোটি ডলার জরিমানা করা হয়েছিল, যা ছিল ওই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

তবে, জরিমানার কথা জেনেও মেটা কম সুরক্ষা নিয়েই ব্যক্তিগত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রে নিচ্ছে। মেটাকে করা আজকের জরিমানা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

এদিকে, এই জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছে মেটা। এক বিবৃতিতে মেটা বলছে, অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয় জরিমানাসহ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে এবং আদালতের মাধ্যমে আদেশ স্থগিত করা হবে।

প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউরোপীয় অঞ্চলের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য যুক্তরাষ্ট্রে জমা রাখে মেটা। প্রায় এক দশক আগে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) গোপন নজরদারির তথ্য ফাঁস করে এডওয়ার্ড স্নোডেন। এরপরেই যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য জমা রাখার বিষয়ে লড়াই করে আসছেন অস্ট্রিয়ান ক্যাম্পেইনার ম্যাক্স শির্মস।

গত মাসে মেটা বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে ইউরোপীয়ানদের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদে স্থানান্তরে একটি চুক্তি করা হবে। স্থানান্তর প্রক্রিয়া স্থগিতের আগেই এমনটি চুক্তিটি বাস্তবায়িত হবে। এর অর্থ হলো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মেটাকে আগে যে সতর্কবার্তা দিয়েছিল, তা মানছে না তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।

২০২২ সালের মার্চে তথ্য সুরক্ষা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র এক মতে পৌঁছায়। এই চুক্তিটি আগামী জুলাইয়ের মধ্যে প্রস্তুত হতে পারে। তবে, মেটার দাবি, চুক্তিটি সময়মতো প্রস্তুত না হওয়ার শঙ্কা প্রবল।