মেয়েরা চিকিৎসক হবে, তাই ১২ কিমি পথ ভেঙে স্কুলে নিয়ে যান বাবা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/12/08/afghan_photo.jpg)
আফগানিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চলে চলছে তালেবান রাজত্ব। সেখানে মেয়েদের পক্ষে বাইরে বের হওয়া সহজ কাজ নয়। কিন্তু সেই কঠিন কাজটি মাথা পেতে নিয়েছেন দেশটির পাকতিকা প্রদেশের শারানা এলাকার মিয়া খান। নিজের মেয়েদের চিকিৎসক বানানোর আশা নিয়ে প্রতিদিন এবড়োখেবড়ো আর পাথুরে রাস্তায় ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিয়ে যান স্কুলে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
সুইডেনের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার স্কুল নুরানিয়ায় মেয়েদের ভর্তি করিয়েছেন মিয়া খান। কিন্তু সে স্কুলে যেতে পাড়ি দিতে হবে ১২ কিলোমিটার পথ। তাই নিজেই মোটরসাইকেলে করে মেয়েদের নিয়ে যান স্কুলে। এভাবে প্রতিদিন তিন মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যান তিনি। শুধু তাই নয়, স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়েও থাকেন। মেয়েদের স্কুল শেষ হলে বাড়ি নিয়ে আসেন।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2019/12/08/afghan_photo_2.jpg 687w)
মিয়া খান যে এলাকায় থাকেন, সেখানে একজনও নারী চিকিৎসক নেই। সে অভাব তিনি পূরণ করতে চান মেয়েদের দিয়ে।
মিয়ার তিন মেয়ের মধ্যে দুজন ষষ্ঠ শ্রেণিতে আর একজন পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে।
এ ব্যাপারে মিয়ার সরল উক্তি, ‘আমি অশিক্ষিত। তবু জানি, শিক্ষার কত মূল্য। বিশেষ করে মেয়েদের লেখাপড়া শেখা খুব জরুরি। এত দিন এ বিষয়ে কেউ নজর দেয়নি বলেই তো এখানে একজনও নারী চিকিৎসক নেই। আমার মেয়েরা সেই অভাব পূরণ করবে।’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2019/12/08/afghan_photo_3.jpg 687w)
মিয়া খানের এক মেয়ে বলে, ‘পড়াশোনা করতে পেরে আমি অনেক খুশি। আমি এ বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছি। আমার বাবা প্রতিদিন আমাদের স্কুলে নিয়ে আসেন এবং বাড়িতে নিয়ে যান।’
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে মিয়া খানের এমন ত্যাগের কথা। অনেকেই প্রশংসা করছেন তাঁর। আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় ১২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মেয়ের স্কুলে নিয়ে যাওয়াকে পরিবর্তনের একটি পথ বলে ধরে নিচ্ছেন অনেকে।