যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

Looks like you've blocked notifications!
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রী ডোমিনিক রাব। ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রী ডোমিনিক রাব পদত্যাগ করেছেন। আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। মূলত, সহকর্মীদের উত্যক্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরই তিনি পদত্যাগ করেছেন। খবর রয়টার্সের।

সর্বশেষ ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ঋষি সুনাক সরকারের তিন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। ইস্তফা দেওয়ার তালিকায় ডোমিনিক রাব সর্বশেষ। ব্যক্তিগত আচরণের কারণেই ওই তিনজন পদত্যাগ করেছেন। এতে করে বেশ বিব্রত অবস্থায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। কারণ গত অক্টোবরে ক্ষমতায় আসা কনজারভেটিভ পার্টি বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারছে না তারা।

ডোমিনিক রাবের বিরুদ্ধে আনা উত্যক্তের প্রতিবেদন এখনও জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। তবে, এর আগেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন।।

মাত্র দুই সপ্তাহ বাদেই যুক্তরাজ্যের স্থানীয় কাউন্সিলগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি বড় ব্যবধানে পরাজিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর ডোমিনিক রাবের পদত্যাগে নতুন করে বেশ বিপাকে থাকবেন ঋষি সুনাক। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি সুনাকের কার্যালয়।

চিঠিতে ডোমিনিক রাব বলেন, ‘আমি তদন্তের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি এবং তারা যদি কোনো অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে থাকে  আমি নিজের অবস্থান থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবো। আমার বিশ্বাস, নিজের কথায় অটুট থাকা খুবই জরুরি।’

উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডোমিনিক রাবের কোনো আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা ছিল না। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্ট থেকে দূরে থাকলে বা অক্ষম হলে উপপ্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু দায়িত্ব পালন করেন। তবে, ডোমিনিক রাব ঋষি সুনাকের অন্যতম রাজনৈতিক মিত্র। গত গ্রীষ্মে ক্ষমতায় আসতে ঋষি সুনাকের নির্বাচনী প্রচার কাজে বেশ সাহায্য করেছিলেন ডোমিনিক রাব।

যুক্তরাজ্য সরকারের তিনটি বিভাগ থেকে ডোমিনিক র‌াবের বিরুদ্ধে উত্ত্যক্তের অভিযোগ করা হয়। এ নিয়ে মাসব্যাপী চলে তদন্ত। যেখানে ডোমিনিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

পদত্যাগের আগ পর্যন্ত প্রায় দেড় বছর উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ডোমিনিক রাব। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদলের অংশ হিসেবে তাকে উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিচারমন্ত্রী করা হয়। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি।