যুক্তরাজ্যের সাবমেরিনে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের সাবমেরিন সার্ভিসে নারীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রয়্যাল নেভির প্রধান স্যার বেন কে। বহরে কাজ করা একাধিক হুইসেলব্লোয়ার বলেছেন, তাঁরা সব পদাধিকারীর কাছ থেকে দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হয়েছেন। ডেইলি মেইলের বরাতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বেন কে এমন ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য’ মন্তব্য করে বলেছেন, ‘রয়্যাল নেভিতে যৌন হয়রানির কোনো স্থান নেই এবং তা সহ্য করা হবে না। দোষী যেই হোক না কেন, তাকে জবাবদিহি করতে হবে।’

এক নারী ডেইলি মেইলকে বলেছেন, ঘুমানোর সময় উচ্চপদস্থ এক পুরুষ দ্বারা তিনি যৌন হয়রানির শিকার হন। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাঁর কিডনিতে ঘুষি মারেন।

ওই নারী অভিযোগ করেন, অন্য একজন তাঁর জন্য মডেলদের নগ্ন ছবি ও তাঁর কেবিনে ৫০ সেন্ট রেখে যান। এর বিনিময়ে তাঁকে যৌন কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

অপর এক নারী অভিযোগ করে বলেন, তাদেরকে একের পর এক যৌনকাজের জন্য বলা হতো এবং প্রায়ই চিৎকার চেঁচামেচি করা হতো। একইসঙ্গে ক্লিপবোর্ড ও কলম দিয়ে আঘাত করা হতো। 

২০১১ সালে মহিলা নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই অপব্যবহারের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করা হয়৷

নৌবাহিনীর সাবেক রিয়ার অ্যাডমিরাল ক্রিস প্যারি বিবিসির টুডে প্রোগ্রামকে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন—সমস্যাটি বৃহত্তর সমাজেরও প্রতিফলন। আমি ভয় পাচ্ছি যে, কিছু যৌনাচার স্বাভাবিক কাজের জায়গায় থেকে এখন সাবমেরিনে স্থানান্তরিত হয়েছে। অবশ্যই একটি সংকুচিত পরিবেশে সবকিছু অতিরঞ্জিত হয়ে যায়।’

দাতব্য সংস্থা সেন্টার ফর মিলিটারি জাস্টিস থেকে এমা নর্টন বলেছেন, ‘রয়্যাল নেভি রয়েল নেভিকে তদন্ত করছে। অনেক বছর ধরে সেবাদানকারী নারীরা এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ তদন্তের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের একক পরিষেবা থেকে সরিয়ে নিয়ে একটি স্বাধীন সংস্থার কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়ে আসছেন।’

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অনুসারে, সাবমেরিন পরিষেবাটি ‘অদৃশ্য এবং বাধাহীন’, যা ‘পেশাদারিত্ব এবং সাহসের জন্য স্থায়ী খ্যাতি তৈরি করেছ।’

পরিষেবাটিতে ভ্যানগার্ড ক্লাস সাবমেরিন রয়েছে। এটি যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক প্রতিরোধক সরবরাহ করে।