যৌন নির্যাতনে সহায়তা, গিলেন ম্যাক্সওয়েলের ২০ বছরের কারাদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!
গিলেন ম্যাক্সওয়েল। ছবি : সংগৃহীত

যৌন নির্যাতনে সহায়তা করার দায়ে গিলেন ম্যাক্সওয়েলকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন নিউইয়র্কের একটি আদালত। মঙ্গলবার ম্যাক্সওয়েলকে এ সাজা দেওয়া হয়।

প্রয়াত জেফরি ইপস্টেইনকে নারীদের যৌন নির্যাতনে সহায়তা করার দায়ে ম্যাক্সওয়েলকে এ সাজা দেওয়া হলো। জেফরি ইপস্টেইন ২০১৯ সালে ম্যানহাটন কারাগারে আত্মহত্যা করেন।

এ রায়ের ফলে ৬০ বছর বয়সি ম্যাক্সওয়েলকে বাকি জীবনের বেশিরভাগ সময় জেলে কাটাতে হবে। খবর বিবিসির।

খবরে বলা হয়, ১৯৯৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ এক দশক ধরে এসব অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গিলেন ম্যাক্সওয়েল।

সাজা ঘোষণা করে বিচারক অ্যালিসন জে নাথান বলেন, ম্যাক্সওয়েলের আচরণ ছিল ‘জঘন্য ও হিংস্র’।

বিচারক অ্যালিসন আরও বলেন, ‘ম্যাক্সওয়েল ইপস্টেইনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন কম বয়সি মেয়েদের বেছে নিতে যারা দুর্বল ছিল এবং যৌন নির্যাতনের সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’

সাবেক ব্রিটিশ সংসদ সদস্য রবার্ট ম্যাক্সওয়েলের মেয়ে গিলেন ম্যাক্সওয়েল। নিজেও বেশ প্রভাবশালী অক্সফোর্ড থেকে ডিগ্রিধারী এ নারী। গত বছরের শেষের দিকে তাকে ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

ম্যাক্সওয়েলের আইনজীবীরা মর্মান্তিক শৈশবের উদ্ধৃতি দিয়ে তার সঙ্গে নম্র আচরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে দাবি করেছিলেন— গিলেন ম্যাক্সওয়েলকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে; কারণ জেফরি ইপস্টেইন বিচারের আওতা থেকে বেরিয়ে গেছেন।

প্রসিকিউটররা গিলেনের ৩০ থেকে ৫৫ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছিলেন। তবে গিলেনের আইনজীবীর চাওয়া ছিল— সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা হোক।

শেষ পর্যন্ত বিচারক অ্যালিসন ২০ বছরের সাজা দিলেন গিলেনকে। ২০২১ সালের শেষের দিকে গিলেন ম্যাক্সওয়েলের বিচারের সময় প্রসিকিউটররা প্রমাণ করেছেন যে, ইপস্টেইনের জন্য কমবয়সী মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলতেন ম্যাক্সওয়েল।

ইপস্টেইনের লালসার শিকার দুই নারী সাক্ষী দিয়েছেন, গিলেন ম্যাক্সওয়েল যখন তাদের প্রলুব্ধ করা শুরু করেন, ওই সময় তাদের বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর।