রানওয়েতে পিছলে বিমান তিন টুকরো, নিহত ৩ যাত্রী
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে রানওয়েতে পিছলে পড়ে তিন টুকরো হয়েছে একটি বিমান। এ ঘটনায় তিন যাত্রী নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত ১৭৯ জন। গতকাল বুধবার ইস্তাম্বুলের সাবিহা গোকেন বিমানবন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭১ যাত্রী ও ছয়জন ক্রু নিয়ে তুরস্কের ইজমির থেকে যাত্রা করে পেগাসাস এয়ারলাইনসের ৭৩৭ বোয়িং বিমানটি। বিমানটির বেশিরভাগ যাত্রীই তুরস্কের বাসিন্দা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তুরস্ক ছাড়াও ১২টি দেশের অন্তত ২২ যাত্রী ওই বিমানে ছিলেন।
ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলি ইয়ারলিকায়া বলেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পেগাসাস এয়ারলাইনসের বিমানটিকে রানওয়েতে ধরে রাখা যায়নি। এটি রানওয়েতে ৫০ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত পিছলে যায়।’
ইয়ারলিকায়া আরো বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে দুঃখিত… তবে আমরা এ জন্য খুশি যে আরো বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।’ বিমানটি আগুনের শিখায় ফেটে যেতে পারত, বলেন তিনি। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহেরেটিন কোকা জানান, দুর্ঘটনায় হাসপাতালে তিনজন মারা গেছেন এবং ১৭৯ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সেখানকার ফ্লাইটগুলো ইস্তাম্বুলের প্রধান বিমানবন্দরের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তুরস্কের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে এই বোয়িং ভেঙে পড়ল, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
এদিকে ভিডিও ফুটেজে দুর্ঘটনার পরই যাত্রীদের বিমান থেকে বের হয়ে আসতে দেখা যায় এবং উদ্ধারকাজ চালাতে দেখা যায় উদ্ধারকর্মীদের।
এর আগে গত জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা পেগাসাস এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান একই বিমানবন্দরে (ইস্তাম্বুল সাবিহা গোকেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এতে কেউ হতাহত হয়নি, তবে বিমানবন্দরটি সাময়িক বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে একটি পেগাসাস বোয়িং ৭৩৭ তুরস্কের ট্র্যাবজন বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে সমুদ্রের ধারে আটকে যায়, এতেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।