ইউক্রেনে আগ্রাসনের এক বছর

রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

Looks like you've blocked notifications!
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অনির্ধারিত সফরে যাওয়ার সময় ট্রেনে হাঁটছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : রয়টার্স

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দ্বিতীয় বছরে পা রেখেছে আজ শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি)। প্রথম যুদ্ধ বার্ষিকীর দিনেই রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে রুশ মিত্ররাও রয়েছে এ তালিকায়। রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ মস্কোর কাছে অস্ত্র বিক্রি করা সংস্থাগুলো। রাশিয়ার আয় কমাতেই এমনটা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের।

এদিকে, যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকীতে ইউক্রেনকে আরও ২০০ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সহায়তার পুরোটাই থাকবে অস্ত্র ও গোলাবারুদে। তবে, এই সহায়তায় নেই এফ-১৬ যুদ্ধবিমান, যা চেয়ে আসছে কিয়েভ।

যুদ্ধ বার্ষিকী উপলক্ষে জি-৭ ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন বাইডেন। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে ইউক্রেনীয়দের আরও কী কী সহায়তা দরকার, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও জি-৭ জোটভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার ২০০ ব্যক্তি ও সংস্থা এবং মস্কোর ডজনখানেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। রাশিয়া যেন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়াতে না পারে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি ‘এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেশন মেকানিজম’ গঠন করার পরিকল্পনা করছে।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ওইসব তৃতীয় পক্ষকেও যুক্ত করা হয়েছে, যারা কিনা রাশিয়াকে সমর্থন করে আসছে। হোয়াইট হাউজ থেকে একটি ফ্যাক্ট শিটে বলা হয়, তৃতীয় পক্ষের মধ্যে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ রয়েছে। তারা রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে। আমাদের প্রধান উদ্দেশে তাদের থামানো।

এতে আরও বলা হয়, আমরা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে জড়িত তৃতীয় পক্ষের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেব। রাশিয়া যেন নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিতে পারে এমন দায়ীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের সেক্রেটারি জেনেট ইয়েলেন শুক্রবার সকালে একটি মার্কিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাশিয়ান ব্যক্তি, সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তারা যেন ফাঁকি দিতে না পরে সেজন্য আমরা নিষেধাজ্ঞাগুলোকে আরও জোরদার করব।’

এদিকে, রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত একশরও বেশি পণ্যের ওপর আরও শুল্ক বসানোর কাগজে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন বাইডেন। এর মধ্যে রয়েছে ধাতু, খনিজ ও রাসায়নিক পণ্য, যা থেকে রাশিয়ার আয় ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার। 

হোয়াইট হাউস বলছে, রাশিয়ার গলিত বা ঢালাই করা অ্যালুমিনিয়ামের জন্য আমাদের দেশীয় অ্যালুমিনিয়াম শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে। তা মোকাবেলায় রুশ অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হবে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের দাবি, রুশ অ্যালুমিনিয়ামে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করতে পারে বাইডেন প্রশাসন।