রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাজ্যের আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : রয়টার্স

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন এক বছর পেরিয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ছিল প্রতিবেশি দেশ দুটির প্রথম যুদ্ধবার্ষিকী। এ দিনেই রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউক্রেনের মিত্র যুক্তরাজ্য। যুদ্ধে ব্যবহৃত কোনো পণ্যই রাশিয়ার কাছে বিক্রি করবে না ঋষি সুনাকের দেশ। এ ছাড়া রাশিয়া থেকে লোহা ও ইস্পাত পণ্য আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা। খবর রয়টার্সের।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপরেই দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই ইউরোপের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। রুশ আগ্রাসনের পর থেকেই ইউক্রেনকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাজ্য। অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকা সত্ত্বেও কিয়েভকে সহায়তার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি।

যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাজ্য। ব্রিটেনে থাকা রুশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ বাজেয়াপ্তসহ নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি। সবশেষ গতকাল যুদ্ধ বার্ষিকীর দিনে মস্কোর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয় ঋষি সুনাক প্রশাসন।

যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে ৯২ ব্যক্তি ও সংস্থা। এ তালিকায় রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র ও নর্ড স্টিম-২ পাইপলাইনের বস ম্যাথিয়াস ওয়ারর্নিং। 

এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের অর্থ সচিব জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘আজ আমরা সেইসব অভিজাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছি যারা কিনা পুতিনের মূল শিল্প চালায়। এ ছাড়া রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে যেসব জিনিস ব্যবহার করছে তার প্রতিটি আইটেম আমরা তাদের কাছে রপ্তানি করব না। এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমরা।’

রয়টার্স বলছে, রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত ১৪০টি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে রয়েছে লোহা ও ইস্পাত পণ্য। এমনকি রাশিয়ার কাঁচামাল দিয়ে তৃতীয় দেশে তৈরি হওয়া পণ্য আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’

যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য সচিব কেমি ব্যাডেনোচ বলেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা কাজ করছে। রাশিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে পণ্য আমদানি কমেছে ৯৯ শতাংশ। রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানি কমেছে ৮০ শতাংশ।’