রুশদির ওপর হামলার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না : হেজবুল্লাহ
ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ওপর হামলার বিষয়ে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হেজবুল্লাহ কিছু জানতো না বলে দাবি করেছেন দলটির একজন কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে এ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এ সম্বন্ধে কিছুই জানি না। তাই এ বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্যও করতে পারবো না।’
ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক ৭৫ বছর বয়সি রুশদি তার ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাসের জন্য বছরের পর বছর ধরে কট্টরপন্থি ইসলামিস্টদের দেওয়া মৃত্যু পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন।
১৯৯৮ সালে প্রকাশের পরপরই বইটি ভারতসহ বিশ্বের একাধিক দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
ওই সময়ে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ রুহোল্লাহ খোমেনি রুশদির বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে মুসলমানদের তাকে হত্যা করার আহ্বান জানিয়ে ফতোয়া জারি করেছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউটে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন রুশদি।
অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে নিজের আসনে বসার পর যখন রুশদিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল ঠিক সেসময়ই তাকে ছুরি মারা হয়। অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে হাদি মাতার নামে ২৪ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি হামলার আগে নিউ জার্সি থেকে নিউইয়র্ক যান।
হাদি মাতার একজন লেবানিজ এবং তাঁর পরিবার দক্ষিণ লেবাননের ইয়ারুন শহর থেকে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছে বলে রয়টার্সকে জানান শহরের মেয়র আলি তেহফি।
তিনি বলেন, হাদি মাতারের বাবা-মা অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র যান। মাতারের জন্ম এবং বেড়া উঠা সেখানেই।
হাদি মাতার বা তাঁর পরিবার হেজবুল্লাহর অনুসারী বা সমর্থক কি-না এমন প্রশ্নের জাবাবে মেয়র তেহফি বলেন, যেহেতু তাঁরা বিদেশে বসবাস করে তাই তাঁদের রাজনৈতিক মতাদর্শ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই।