লেবাননে সরকারের পদত্যাগ চায় বিক্ষোভকারীরা

Looks like you've blocked notifications!
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিক্ষুব্ধরা রাস্তায় আগুন দিয়েছে, ভেঙেছে গাড়ি। ছবি : সংগৃহীত

লেবাননে দানা বাঁধছে সরকারবিরোধী আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা চাইছে সরকারের পদত্যাগ। এদিকে, গত মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বৈরুত বন্দরের ১৬ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।

লেবাননে প্রাণঘাতী ভয়াবহ বিস্ফোরণের ৪৮ ঘণ্টা পর রাজধানী বৈরুতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পার্লামেন্ট এলাকায় বিক্ষুব্ধরা রাস্তায় আগুন দিয়েছে, ভেঙেছে গাড়ি। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভ দমনে যোগ দেওয়া সেনাসদস্যরা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করেছে। বিক্ষুব্ধদের দাবি সরকারের পদত্যাগ। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

লেবাননের সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা জর্জ নাদের বলেন, ‘ফরাসি ও ইউরোপীয় সরকারগুলোকে আমরা বলতে চাই, আপনারা লেবানন সরকারকে সহায়তা করা বন্ধ করুন। যেহেতু জনগণের স্বার্থে এই সরকার কিছুই করে না, তাই সরকারের পদত্যাগ চাই আমরা।’

দুই হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত বৈরুতে, দেশি-বিদেশি উদ্ধারকর্মীরা চালাচ্ছেন উদ্ধার তৎপরতা। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা মানুষকে উদ্ধারে মোতায়েন করা হয়েছে ডগ স্কোয়াড।

উদ্ধার করা আহতদের নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। এদিকে, রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এমন পরিস্থিতিতে লেবাননকে সহায়তার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাঠ পর্যায়ে হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে জর্ডান।

বিস্ফোরণে প্রাণ হারানো দেড় শতাধিক মানুষের দাফন বা শেষকৃত্যে চলছে স্বজনদের শোকের মাতম। মৃতদের জন্য চলছে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতাও।

লেবাননে বিস্ফোরণের পরপরই গত বৃহস্পতিবার ছুটে এসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো। হতাহতদের স্বজনদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন। তবে সরকারের পতন দাবি করাদের উদ্দেশে এমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেন, দেশটির সংবিধান পরিবর্তনের ভার তাঁর ওপর নেই।