শ্রীলঙ্কায় সংকটের জন্য পুতিন দায়ী : জেলেনস্কি

Looks like you've blocked notifications!
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি : সংগৃহীত

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট পার করছে শ্রীলঙ্কা। সংকট এতটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, এর জেরে সৃষ্ট গণআন্দোলনের মুখে দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ না করেই বিদেশে পালিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এখনও বিক্ষোভকারীদের দখলে।

দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটির বর্তমান এ অবস্থার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মূলত শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে অশান্তি সৃষ্টির জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই-এর এক প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে সেখান থেকে খাদ্যপণ্য সরবরাহ বন্ধের কারণে শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে অশান্তি সৃষ্টির জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণে রাশিয়া যে প্রধান কৌশলগুলো ব্যবহার করেছে, তার মধ্যে একটি হলো—দেশটিতে ‘অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা’ সৃষ্টি করা। তাঁর অভিযোগ, ইউক্রেন থেকে সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় ব্যাঘাতের কারণে বেশ কয়েকটি দেশ খাদ্য ও জ্বালানির ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে এবং এতে করে রাশিয়ার এজেন্ডাই উপকার পেয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এশিয়ান লিডারশিপ কনফারেন্সে বক্তৃতার সময় শ্রীলঙ্কার সংকট তুলে ধরে জেলেনস্কি বলেন, ‘খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে একটি সামাজিক বিস্ফোরণ ঘটবে। এটা কীভাবে শেষ হবে, তা এখন কেউ জানে না।’

এএনআই বলছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে বিশ্বের ৯৪টি দেশের আনুমানিক ১৬০ কোটি মানুষ অর্থ, খাদ্য, বা জ্বালানি সংকটের মতো অন্তত একটি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। আর, সরাসারি প্রভাব পড়েছে এমন দেশগুলোর প্রায় ১২০ কোটি মানুষ মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।