সংঘর্ষ ও ধরপাকড়ের মধ্য দিয়ে আরেকটি রমজান শেষ করল ফিলিস্তিন

Looks like you've blocked notifications!
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অভিযান ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাসজুড়ে সিয়াম সাধনার পর মধ্যপ্রাচ্যে আজ সোমবার উদ্‌যাপন করা হচ্ছে ঈদুল ফিতর। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর মত ফিলিস্তিনেও আজ ঈদ। তবে পার্থক্য হলো, ফিলিস্তিনিদের ঈদের আনন্দের সঙ্গে মিশে আছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে তাদের নিপীড়নের গল্প।

পবিত্র রমজানের শেষ দিনেও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অভিযান ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি শহরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার ও অভিযান চালায় ইসরায়েল।

রমজানের শেষ দিন রোববার অভিযান চালিয়ে ১২ ফিলিস্তিনিকে আটক করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পশ্চিম তীরের কারাওয়াত বানি হাসান, জালাজুন শরণার্থী শিবির, মেরকা, সানুর, সালেম শহর এবং নাবলুসের বালাতা শরণার্থী শিবির থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

এদিনও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচ ফিলিস্তিনি যুবক গুলিবিদ্ধ হয়।

এ ছাড়া ফিলিস্তিনের হাসপাতাল সূত্র জানায়, রমজানে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খবর আরব নিউজের।

একজন ইসরায়েলি মুখপাত্র বলেছেন, সেনাবাহিনী ও শিন বেত নিরাপত্তা বাহিনী গত শুক্রবারের এরিয়েল বসতিতে হামলাকারীদের বাড়িতে একটি জরিপ করার সময় একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়।

পরদিন শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সালফিতের কাছে কারাওয়াত বানি হাসান শহরের একটি বাড়িতে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেয়। এ সময় হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রও জব্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৩ মে থেকে শুরু করে ৬ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকার ক্রসিংগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত শাস্তির নীতি বন্ধ করতে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।