সম্পর্কের নতুন যুগ নির্মাণে সৌদি আরবে এরদোয়ান

Looks like you've blocked notifications!
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি : সংগৃহীত

কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফরে সৌদি আরব গিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা হবে বলে আশা করছেন তিনি।

এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট দপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার লোহিত সাগর তীরবর্তী জেদ্দা শহরের আল সালাম প্রাসাদে এরদোয়ান সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সৌদি আরবের নির্বাহী শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বাদশার সঙ্গে সাক্ষাতের পর এরদোয়ানের সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদের একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে আঙ্কারার জনসংযোগ দপ্তর টুইটারে জানিয়েছে।

সৌদি বাদশার আমন্ত্রণে এরদোয়ান সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন বলে তার দপ্তর জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বেশ কয়েক মাস ধরেই সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করার চেষ্টা করে আসছিল তুরস্ক। এই লক্ষ্যে ইস্তাম্বুলে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার বিচারও স্থগিত করে তারা; এই প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতিই এরদোয়ানের এ সফর।

বিশ্লেষক ও কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী বছরের নির্বাচনের আগে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতিসহ তুরস্কের অর্থনৈতিক দুর্ভোগ উপশমে সৌদি তহবিল সাহায্য করতে পারবে। নির্বাচনে এরদোয়ান কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সৌদি কন্স্যুলেটে খাশোগিকে হত্যা করার পর তাঁর লাশ টুকরা টুকরা করে গুম করে ফেলে সৌদি আরবের একটি হিট স্কোয়ার্ড। এ ঘটনার জেরে দুদেশের সম্পর্ক নাজুক হয়ে পড়ে। এই খুনের আদেশ সৌদি আরব সরকারের ‘সর্বোচ্চ পর্যায়’ থেকে এসেছে বলে ওই সময় এরদোয়ান অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে আঙ্কারা স্পষ্টভাবে তার সুর নরম করেছে।

এরপর নীতি উল্টে চলতি মাসে তুরস্ক খাশোগি হত্যায় সন্দেহভাজন সৌদি নাগরিকদের বিচার কার্যক্রম স্থগিত করে এ সংক্রান্ত মামলাটি সৌদি আরবে স্থানান্তরের আদেশ দেয়। দেশটির এ সিদ্ধান্ত বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠীর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে।

বৃহস্পতিবারের সফরের জন্য জেদ্দায় রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের এরদোয়ান বলেন, ‘আমাদের সাধারণ ইচ্ছা’ হল সম্পর্কের উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক, সামরিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার।

সম্পর্ক উন্নয়নের ফলে স্বাস্থ্য, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা, সামরিক শিল্প ও আর্থিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।