সহিংসতা দমনে পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সম্মতি

Looks like you've blocked notifications!
ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি। ছবি : রয়টার্স 

জর্ডানে আলোচনার পর বাড়তে থাকা সহিংস তৎপরতা কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রতি দিয়েছেন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা।

লোহিত সাগরের তীরে অবকাশ যাপন কেন্দ্র আকাবায় গতকাল রোববার দুপক্ষের বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা বলেন, তারা সন্ত্রাস দমনে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন এবং পাশাপাশি তারা এ ধরনের ঘটনা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন।

ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি দেয় যে তারা চার মাসের জন্য নতুন বসতি স্থাপন কাজ বন্ধ রাখতে আলোচনা করবে এবং ছয় মাসের জন্য নতুন বসতি স্থাপন অনুমোদনের কাজও বন্ধ রাখবে।

বিশদ এবং খোলামেলা আলোচনার পর প্রকাশিত বিবৃতিতে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসী তৎপরতা কমিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে।

বৈঠকের শেষ ভাগে এই যৌথ বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়। আগামী মার্চ মাসের শেষ ভাগে মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে সহিংস তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও জর্ডানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই বিবৃতি দেওয়া হলো।

বিবৃতি অনুসারে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তিন থেকে ছয় মাসের জন্য কাজ করতে যৌথ প্রস্তুতি ও প্রতিশ্রুতির ওপর জোড় দেয়।

মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আয়োজক দেশ জর্ডান দুপক্ষের সম্পর্ক পুণঃপ্রতিষ্ঠা ও গভীর করার ক্ষেত্রে এই বোঝাপড়াকে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছে।

দুপক্ষ আগামী মাসে মিশরের শার্ম আল শেখে আবারও বৈঠকে বসার বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেছে।

এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ক্ষমতাসীন হামাস কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীর ভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের এই আলোচনায় অংশ নেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। হামাসের একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, এই বৈঠক কোনো কাজেই আসবে না এবং কোনো কিছুই বদলাতে পারবে না।

তবে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন এর আগে এই বৈঠকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এক টুইটার বার্তায় সংগঠনটি জানায়, আকাবার এই বৈঠকে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গণহত্যা ও ভীষণ বেদনাদায়ক ঘটনার শিকার ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষ থেকে রক্তপাত বন্ধের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।