সাইরেন বাজিয়ে, পতাকা অর্ধনমিত রেখে চীনের ‘শহীদ’ স্বাস্থ্যকর্মীদের কুর্নিশ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/04/04/china-3-mnt.jpg)
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, বিশেষ করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী যাঁরা প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ‘শহীদ’ হয়েছেন, তাঁদের স্মরণে বিমান হামলার সতর্কতা সংকেত বাজিয়ে এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে তিন মিনিটের নীরবতা পালন করেছে চীন।
দেশটির সব বড় শহরে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় শহর যেন এক জায়গায় থমকে যায়। যে যেখানে ছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়েই শহীদদের প্রতি কুর্নিশ জানান বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিন বুকে সাদা ফুল গুঁজে বেইজিংয়ের খোলা ময়দানে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ সরকারি কর্মকর্তারা। দেশটির সব বড় শহরে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এই স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে মূল কেন্দ্র ছিল উহান, গত বছরের ডিসেম্বরে যে শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়।
ব্যাপকভাবে স্মরণ করা হচ্ছে করোনার আঘাতে মৃত্যুবরণকারী উহানের চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াংকে। একেবারে শুরুর দিকে ভাইরাসটি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করে কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়েন লি ওয়েনলিয়াং। পরে তিনিই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং প্রাণ হারান।
করোনা আক্রান্তদের সেবায় নিয়োজিত এক নার্স বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হয়ে আমাদের সহকর্মী ও রোগীদের যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের জন্য আমি অনেক কষ্ট পাই। আমি আশা করি, তাঁরা স্বর্গে ভালো আছেন।’
চীনে শনাক্ত হওয়ার পর এরই মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে। এতে শুধু চীনেই মৃত্যু হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের। আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৫১১ জন।
এ ছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ২১৭ জনে।
নেদারল্যান্ডসের বার্তা সংস্থা বিএনও নিউজের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ১১ লাখ ৫ হাজার ৩০৬ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৬৭০ জন চিকিৎসাধীন এবং ৩৫ হাজার ৪২৮ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে দুই লাখ ২১ হাজার ৪১৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ৫৯ হাজার ২১৭ জন রোগী মারা গেছেন।