সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে চীনের : রাশিয়া

Looks like you've blocked notifications!
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (বাঁয়ে) ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। ছবি : সংগৃহীত

চীনের কড়া হুঁশিয়ারির পরও তাইওয়ানে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ) স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মঙ্গলবার রাতে তিনি নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই তাইপেতে পৌঁছান।

স্থানীয় সময় ১০টা ৪৪ মিনিটে তাঁর উড়োজাহাজ তাইপের মাটি স্পর্শ করে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে করে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে তিনি তাইপেতে পৌঁছান। উড়োজাহাজের সিঁড়ি দিয়ে নামার পর তাইওয়ানের একদল প্রতিনিধি তাঁকে স্বাগত জানান।

পেলোসির সফর ঘিরে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে চীনের পক্ষ নিয়েছে রাশিয়া।

এ বিষয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ছিল একটি স্পষ্ট উস্কানি।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, চীনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে দেশটির। খবর রয়টার্সের।

পেলোসির এই সফরের আগে মঙ্গলবার চীনকে সমর্থন করেছিল রাশিয়া। ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে মস্কো বলেছিল, এ সফর বেইজিংয়ের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সংঘর্ষের পথে নিয়ে যাবে।

এদিকে, ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিবাদে বেইজিংয়ে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নসকে তলব করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার রাতে পেলোসি তাইপে অবতরণের পরই ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বেইজিং। এরই অংশ হিসেবে নিকোলাসকে তলব করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

চীনের ভাইস-পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি ফেং বলেন, পেলোসির সফরের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে এবং গুরুতর পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। চীন অলসভাবে বসে থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

রাজধানী তাইপে অবস্থান করা মার্কিন স্পিকার পেলোসি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট এবং আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জানা গেছে।