সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য আর নেই
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/06/25/nemai.jpg)
সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য (৮৯) আর নেই। বেশ কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার টালিগঞ্জে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই জনপ্রিয় সাহিত্যিক।
নিমাই ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৩১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা মহকুমার (বর্তমান জেলা) শালিখা থানার অন্তর্গত শরশুনা গ্রামে। মাত্র তিন বছর বয়সে মাকে হারান তিনি। বাবা সুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যই তাঁকে মানুষ করেন। ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ থেকেই তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরে কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হন। কলেজে পড়তে পড়তেই সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি। তবে তাঁর সাহিত্যগুলোর আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে দীর্ঘ সাংবাদিক জীবন।
নিমাই ভট্টাচার্যের অন্যতম সৃষ্টি ‘মেমসাহেব‘ উপন্যাস। তা ছাড়া ‘পিয়াসা’, ‘ম্যারেজ রেজিস্ট্রার’, ‘অষ্টাদশী’, ‘ডিপ্লোম্যাট’, ‘নাচনী’, ‘ইমন কল্যাণ’, ‘ব্যাচেলার’-এর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন তিনি।
১৯৫০ সালে ‘লোকসেবক’ পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু নিমাই ভট্টাচার্যের। তারপর দিল্লিতে গিয়ে বেশ কয়েকটি কাগজের সংসদ, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ৩০ বছরের সাংবাদিকতা জীবনের বড় সময়টা কাটিয়েছেন দিল্লিতে। কাজ করেছেন পাঁচটি কাগজে। বেশিরভাগই সর্বভারতীয় সংবাদপত্র।
দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে জওহরলাল নেহরু, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, ভি কে কৃষ্ণমেনন, মোরারজী দেশাই, ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের স্নেহভাজন ছিলেন নিমাই ভট্টাচার্য। সাংবাদিকতা থেকে অবসর নেওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় কলম লিখতেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়েও অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল নিমাই ভট্টাচার্যের।