সিনেমা বানাতে ৬৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে সৌদি

Looks like you've blocked notifications!
সৌদি আরবের যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি : সংগৃহীত

সৌদি আরব সিনেমার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ২০১৮ সালে। এর আগে দেশটিতে সিনেমা নিষিদ্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর বিনোদন জগৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে তারা। আর এজন্য  বিনোদন শিল্পে দেশটি ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে।

শুধু তেলের ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতি থেকে সরে আসা এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান সিনেমা হাব ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই বিশাল বিনিয়োগ করছে সৌদি আরব। খবর ব্লুমবার্গ ও কাশ্মীর মিররের।

অ্যান্থনি ম্যাকি (মার্ভেলের নতুন ক্যাপ্টেন আমেরিকা) অভিনীত অ্যাকশন ফ্লিক ‘ডেজার্ট ওয়ারিয়র’ সম্পূর্ণভাবে সৌদি আরবে চিত্রায়িত হচ্ছে। জেরার্ড বাটলারের সর্বশেষ থ্রিলার ‘কান্দাহার’ এই মাসে আল-উলা অঞ্চলে প্রধান ফটোগ্রাফি শুরু করছে।

আল-উলা অঞ্চলটি ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি স্থান। গত বছর সৌদি আরবে পর্যটন চালুর অংশ হিসেবে সাইটটি বিশ্বের পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রাক-ইসলামি যুগের অনেক স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যা এত দিন অবহেলিত ছিল।

এই অঞ্চলের জন্য সৌদি নিযুক্ত ফিল্ম কমিশনার স্টিফেন স্ট্র্যাচান বলেন, ‘আমরাই প্রথম শুরু করেছি, এর আগে এখানে আর কেউ আসেনি। আল-উলাকে আমরা একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছি।’

এটি সৌদি আরবের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, যেখানে মাত্র কয়েক বছর আগে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ ছিল। রেস্তোরাঁগুলোতে নারী-পুরুষ একসঙ্গে বসতে পারত না। বেশির ভাগ বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড, মিউজিক কনসার্ট এবং সিনেমা দেখাকে নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। অবশেষে, ২০১৭ সালে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমান সামাজিক বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করেন এবং প্রচুর কনসার্ট ও বিনোদনমূলক ইভেন্ট চালু করেন।

এদিকে, স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্স, সৌদি আরবের স্টুডিও তেলফাজ ১১-এর সঙ্গে আটটি চলচ্চিত্র বানানোর চুক্তি করেছে।