‘স্পাই বেলুন’ নিয়ে উত্তেজনা : যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের অবনতি

Looks like you've blocked notifications!
নভেম্বরে জি-২০ সম্মেলনে হাস্যোজ্জ্বল জো বাইডেন ও শি জিনপিং। ছবি : রয়টার্স

‘স্পাই বেলুন’ নিয়ে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের নির্ধারিত চীন সফর বাতিলের আগেও যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক ছিল সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়।

আর সম্পর্ক উন্নত করতে ব্লিঙ্কেনের প্রচেষ্টার মধ্যেই চীন সফরের একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানায় আকাশে একটি চীনা স্পাই বেলুনের উপস্থিতি পুরো পরিস্থিতিকেই পাল্টে দেয়।

যদিও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে মানুষবিহীন এই এয়ারশিপটি আবহাওয়া নিয়ে গবেষণার কাজ করছিল এবং তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নির্ধারিত সীমার বাইরে চলে যায়। পাশাপাশি তারা এটাও বলে যে বেইজিং কখনোই চায়নি এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর বাতিল হয়ে যাক।

তবে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। চীনা কর্তৃপক্ষের ক্ষমা প্রার্থনার কয়েক ঘণ্টা পরই ব্লিঙ্কেনের সফর বাতিল করা হয়।

ধারণা করা হয়েছিল এই সফর হবে উদযাপনের কিন্তু এখন তা হারিয়ে ফেলা সুযোগ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

গত মাসে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, যোগাযোগের একটা ভালো ধারায় চলে সম্পর্কোন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সম্পর্ক হবে রেললাইনের মতো।

তবে বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির এই যাত্রা যেন সহজ হওয়ার নয়।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময় বাণিজ্য যুদ্ধ ও তাইওয়ান বিষয়ে উত্তেজনার ফলে ও শি জিনপিংয়ের জেদি মনোভাবের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সম্পর্ক মূলধারা থেকে সরে যায়। আবার বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ওঠে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে যখন চীন রাশিয়ার নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করে।

এরপর গত নভেম্বরে জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় একটি বৈঠক। এসময় দুই নেতা তাদের মধ্যে মতবিরোধ কমিয়ে আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।  

আর এই কাজটিই করতে চাইছিলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পরারাষ্ট্র বিভাগ এখনও আশা ছাড়েনি। তারা আরও একটি শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।