স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে গণমাধ্যমের ওপর আঘাত : রন্তিদেব সেনগুপ্ত
ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষক রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেছেন, কোনো সরকারের মধ্যে যখন স্বৈরাচারী মনোভাব প্রকট হয়ে যায়, তখনই গণমাধ্যমের ওপর আঘাত আসে। গতকাল শুক্রবার রাতে ডয়েচে ভেলের টকশোতে খালেদ মুহিউদ্দীনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন রন্তিদেব।
‘নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির তথ্যচিত্রটি ভারতে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে দেশটির সরকার নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছে’ উল্লেখ করে রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, ‘তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার বোকামির পরিচয় দিয়ে। যিনি নিষিদ্ধ করেছেন তিনি রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ক নয়। ব্যান যদি না করত, তাহলে এত বিতর্ক হত না। বিদেশমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে হত না।’
অনুষ্ঠানে ভারতীয় সাংবাদিক ও লেখক দীপ্তেন্দ্র রায় চৌধুরী বলেন, ‘সরকার এই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করে মূর্খতার পরিচয় দিয়েছে। ভারতে সবসময়ই দাঙ্গা হয়েছে। দাঙ্গার সময় পুলিশের ভূমিকাও সবসময় নিরব ছিল। ২০০২ সালেও ১৯৬৯ এর মতো দাঙ্গা হয়েছিল। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। এটা ভারতবর্ষে অনেকবারই ঘটেছে।’
ভারতের মুসলিমরা কতটা নিরাপদে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে দুই অতিথি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ বিভক্তি চায় না। রাজনৈতিক ও নানা সুবিধা নিতে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী এই দাঙ্গা বাধায়। তারা ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ তৈরি করে।
এক প্রশ্নে জবাবে দীপ্তেন্দ্র বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই মুসলমানরা আগে হামলা করে। তারপর হিন্দুরা ফের আক্রমণ করে। এতে যারা মারা যান তার ৯০ ভাগই মুসলমান। পেছন থেকে দুই পক্ষকেই এভাবে লেলিয়ে দেয় স্বার্থান্বেষী মহল।’
ভারত হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে কি—না এমন প্রশ্নের জবাবে দীপ্তেন্দ্র বলেন, ‘ভারত অনেক আগে থেকেই হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র।’ আর রন্তিদেব বলেন, ‘ভারতে গণতন্ত্র খুব গভীর। এত সহজে এই রাষ্ট্র হিন্দুত্ববাদী হবে না।’