হংকংয়ের ‘এক দেশ, দুই নীতি’ বহাল থাকবে : চীনা প্রেসিডেন্ট

Looks like you've blocked notifications!
হংকং সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি : রয়টার্স

চীনের আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের ‘এক দেশ, দুই নীতি’ শাসনের সূত্র পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হংকংয়ের নতুন নেতা জন লি আজ শুক্রবার শপথগ্রহণের পর শি জিনপিং এ কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাজ্য ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই হংকংকে চীনা শাসনে ফিরিয়ে দেয়। বেইজিং কমপক্ষে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত স্বায়ত্তশাসন, নিরবচ্ছিন্ন ব্যক্তি অধিকার এবং বিচারিক স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হংকংকে আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেয়।

ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তরের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শি জিনপিং অঞ্চলটিতে সফরে যান।

এ সফরের মধ্য দিয়ে শি জিনপিং গত আড়াই বছরের মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে গেলেন। করোনা মহামারির কারণে এ সময়টুকু তিনি চীন থেকে কোথাও যাননি।

২০১৯ সালে হংকংয়ে টানা কয়েক মাস বিক্ষোভ করেছিলেন সেখানকার গণতন্ত্রপন্থিরা। বিক্ষোভ ঠেকাতে ওই সময় ব্যাপক ধরপাকড় ও দমন-পীড়ন চালায় বেইজিং। এরপর চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম সফরে হংকংয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রদর্শনীর সুযোগ পেয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি।

অবশ্য পর্যবেক্ষকেরা বলছেন—২০১৯ সালের বিক্ষোভের পর বেইজিংয়ের করা কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইন হংকংয়ের জন্য প্রতিশ্রুত স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন।

শি জিনপিং বলেছেন, নিরাপত্তা আইনটি হংকংয়ের বাসিন্দাদের ‘গণতান্ত্রিক অধিকারের’ জন্য উপকারী এবং ‘এক দেশ, দুই নীতি’ ফর্মুলা বহাল থাকবে।

‘এ ধরনের ভালো পদ্ধতির জন্য, এটি পরিবর্তন করার কোনো কারণ নেই। এটি দীর্ঘমেয়াদে বজায় রাখতে হবে,’ যোগ করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।