‘হংকং স্বায়ত্তশাসনে নেই’, পম্পেওর বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ

চীনের ‘বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল’ হংকং, ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি সেখানে। গত বছরের জুনে চীন প্রস্তাবিত একটি বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয় হংকংজুড়ে। টানা বিক্ষোভের মুখে চীন বিলটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। তবে এরপরও গণতান্ত্রিক হংকংয়ের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। সে বিক্ষোভকে পরোক্ষভাবে সমর্থন জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে সম্প্রতি বিতর্কিত হংকং নিরাপত্তা আইন উপস্থাপন করা হয় চীনের কংগ্রেসে। সেটি পাসও হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, চীনের নতুন এই আইন হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের অবসান ঘটাবে।
এদিকে, এ আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিমতের দিকে তাকিয়ে ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল। আর এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
গতকাল বুধবার মাইক পম্পেও বলেন, ‘চীনের কাছ থেকে এখন আর স্বায়ত্তশাসনে নেই হংকং। এতে শত শত কোটি ডলারের বাণিজ্য বিপন্ন হতে চলেছে। হংকং তার স্বায়ত্তশাসন হারানোর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে বিশেষ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল, তা নষ্ট হবে। এতে হংকং যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল, তা হুমকিতে পড়বে।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্নিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকে মনে করছেন, পম্পেওর এমন বক্তব্যের অর্থ, যুক্তরাষ্ট্রের করার কিছুই নেই।
বর্তমানে চীনের মূল ভূখণ্ডের চেয়ে আরো বেশি গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা রয়েছে হংকংয়ে। গণতন্ত্রপন্থীদের আশঙ্কা, চীন যেভাবে কমিউনিস্ট পার্টির বিরোধীদের দমন করে, সেভাবেই বিক্ষোভ দমন করতে এ আইন ব্যবহার করা হতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, হংকংয়ের ওপর নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেওয়া হলে তিনি কঠোর সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে পম্পেওর এই বক্তব্যের পর কী হতে চলছে, তা নিয়েই সন্দেহ জাগছে রাজনৈতিক মহলে।