হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা অস্বীকার করল চীন
চলতি বছরের শুরুর দিকে চীন পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে বলে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে। তবে এমন খবর অস্বীকার করেছে চীন।
বেইজিং এর জবাবে জোর দিয়ে বলেছে, এটি একটি নিয়মিত মহাকাশযানের পরীক্ষা ছিল। এর আগে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার প্রাথমিক প্রতিবেদনে ওয়াশিংটনে উদ্বেগ দেখা দেয়। খবর বিবিসির।
মার্কিন গোয়েন্দারা অবাক হয়েছে বলেও জানানো হয়। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সাধারণের চেয়ে অনেক দ্রুত গতির। যার অর্থ হলো এ মিসাইল আটকানো আরো কঠিন।
আজ সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের পুনরায় ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান প্রযুক্তি যাচাই করার জন্য একটি নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়েছিল।
ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘এটি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না, এটি একটি মহাকাশযান ছিল। মহাকাশযান ব্যবহারের খরচ কমানোর জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা ছিল।’
ঝাও আরো বলেন, অতীতে অনেক দেশ একই ধরনের পরীক্ষা চালিয়েছে।’ ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্টটি ভুল কিনা জানতে চাইলে তিনি ‘হ্যাঁ’ উত্তর দেন।
এর আগে পাঁচটি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এ তথ্য জানায়। গত শনিবার গভীর রাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা সামরিক বাহিনী একটি হাইপারসনিক গ্লিড যান বহনকারী রকেট উৎক্ষেপণ করে, যা নিম্ন-কক্ষপথ দিয়ে উড়ে যায়। লক্ষ্যের দিকে যাওয়ার আগে সেটি বিশ্ব প্রদক্ষিণ করে।
গতকাল রোববার এ বিষয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি মন্তব্য চায় রয়টার্স। তবে চীন তখন এ ব্যাপারে কোনো সাড়া দেয়নি। তবে আজ তারা তাদের মন্তব্য জানালো।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক