২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে মুক্তি মিলল পাকিস্তানি সহদরের

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার বাইরে অবস্থিত গুয়ানতানামো বে কারাগার। জঙ্গি সন্দেহে মানুষকে বন্দি রাখা হয় সেখানে। কারাগারটিতে চলে বন্দিদের ওপর নির্যাতন। এ নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক এই কারাগারেই বন্দি ছিল দুই পাকিস্তানি ভাই। সেখানে ২০ বছর থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন তারা। খবর আল-জাজিরার।

প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, বিনা দোষে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ানতানামো বে কারাগারে ২০ বছর আটকে থাকার পর মুক্তি পেয়েছে দুই পাকিস্তানি সহোদর। নিজ দেশে ফেরত গিয়েছে তারা।

৫৫ বছর বয়সী আব্দুল ও ৫৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ রাব্বানী গুয়ানতানামো বে কারাগারের সর্বশেষ বন্দিদের মধ্যে অন্যতম। এখনও কারাগারটিতে ১৮ বন্দি রয়েছে। পার্যায়ক্রমে তাদের ওপর নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এরপরেই কারাগারটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

৯/১১-এর পরবর্তী সময়ে সন্দেহভাজন ‘জঙ্গিদের’ আটকে রাখতে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এই কারাগার চালু করেন। দক্ষিণ কিউবায় অবস্থিত মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে কারাগারটি অবস্থিত। ১৯০৩ সালের হাভানা চুক্তির আওতায় কিউবা থেকে ইজারা নিয়ে মার্কিন এই ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছিল।

কারাগারটি চালু করার পর থেকে বেশ দ্রুত এর কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা দুনিয়ায়। খাঁচার ভেতর বেড়ি ও হাতকড়া পরা কয়েদিদের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর এই কারাগার ঘৃণার প্রতীক হিসেবে পরিচিত হয় মানুষের কাছে।

২০০২ সালে করাচি থেকে পাকিস্তানি ওই সহোদরকে আটক করে দেশটির পুলিশ। এরপর তাদের যুক্তরাষ্ট্রের কাচে হস্তান্তর করে পাকিস্তান। জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদাকে ওই দুই ভাই সহায়তা করেছিল বলে অভিযোগ করে তারা।

গুয়ানতানামো কারাগারে ওই দুই সহোদরকে পাঠানোর আগে তারা মার্কিন বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কাছে ছিল। তাদের সেখানে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয় অভিযোগ রয়েছে।

ওই দুই পাকিস্তানি সহোদরকে পাকিস্তানে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তবে, বন্দিদের ফেরত নেওয়া নিয়ে পাকিস্তান সরকার কোনো শর্ত দিয়েছে কিনা, তা জানানো হয়নি।