যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫-এর জবাবে ৩৫-ই দিচ্ছে রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের পাল্টা জবাব হিসেবে রাশিয়াও ৩৫ কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও মস্কোর ৩৫ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুটি দূতাবাস ভবন বন্ধ করারও পরামর্শ দেবে। যুক্তরাষ্ট্রও মেরিল্যান্ডের ইস্টার্ন শোর ও নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে রাশিয়ার মালিকানাধীন দুটি দপ্তর বন্ধ করে দেয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ টেলিভিশনে বলেন, ‘মস্কোতে মার্কিন দূতাবাসের ৩১ কর্মচারী এবং সেন্ট পিটার্সবার্গের মার্কিন কনস্যুলেটের চার কূটনীতিককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে প্রেসিডেন্টকে (ভ্লাদিমির পুতিন) অনুরোধ করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’
এর আগে আজ শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ৩৫ রুশ কূটনীতিক ও দুটি দপ্তর বন্ধের ঘোষণা করেন। দেশটির নির্বাচনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘নিজেদের প্রেসিডেন্টের মতো আমেরিকার ও এর জনগণও অপমানিত হয়েছে।’
লন্ডনে রাশিয়ার দূতাবাস থেকে বলা হয়, ‘স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে’ এবং ‘মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।’
ওয়াশিংটনে রাশিয়ার কূটনীতিকদের অবাঞ্ছিত করে তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বলা হয়েছে।
ওবামা বলেন, ‘বহিষ্কার করা ৩৫ রুশ কূটনীতিক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা চর।’ একই সঙ্গে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউ ও এফএসবির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি।