রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে তথ্যযুদ্ধ শাখা!
নতুন যুদ্ধবিমান, ট্যাংকসহ বিভিন্ন সামরিক সজ্জায় নতুনভাবে সেজেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। শুধু তাই নয়, সামরিক বাহিনীতে নতুন একটি শাখাও করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার ট্রুপ’ বা তথ্যযুদ্ধ শাখা।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু পার্লামেন্টে এসব তথ্য দিয়েছেন। পশ্চিমা বিশ্ব যখন ‘রাশিয়ান হ্যাকিং’ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করছে, তখনই এমন ঘোষণা দিলেন সার্গেই শোইগু। তথ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করবে এ রকম একটি বাহিনী আছে, তা প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন ওই রুশ মন্ত্রী।
নতুন শাখা ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার ট্রুপের বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রোপাগান্ডাকে হতে হবে চালাক, স্মার্ট ও দক্ষ।’ তবে ওই শাখার মিশন নিয়ে অবশ্য তিনি কিছু বলেননি।
এ ব্যাপারে তথ্য দিয়েছেন রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রতিরক্ষা বিষয় কমিটির প্রধান ভ্লাদিমির শামানভ। তিনি একটি বার্তা সংস্থাকে জানান, ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার ট্রুপের কাজ হবে, ‘তথ্যযুদ্ধের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষা করা।’ তিনি আরো জানান, ‘শত্রুদেশে’র সাইবার হামলা মোকাবিলা করবে ওই শাখা।
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের প্রতিরক্ষা বিষয়ক কমিটির প্রধান ভিক্টর ওজেরভ জানান, ওই শাখা রাশিয়ার তথ্যব্যবস্থা সুরক্ষা করবে। এমনকি শত্রুর হামলা থেকে এসব রক্ষা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় রাশিয়া ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ই মেইল হ্যাক করে। তবে মস্কো তা অস্বীকার করে।
পার্লামেন্টে রুশ মন্ত্রী শোইগু জানান, সামরিক বাহিনীকে সাজানো হয়েছে আরো নতুন সমরাস্ত্র দিয়ে। গত বছরের শেষের দিকে সামরিক বাহিনীতে এসেছে ৪১টি আন্তমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক মিসাইল।
চলতি বছর সামরিক বাহিনীকে আধুনিক করার কাজ চলবে জানিয়ে সার্গেই শোইগু জানান, বিমানবাহিনী নতুন আরো ১৭০টি বিমান পাচ্ছে। সেনাবাহিনী আরো ৯০৫টি ট্যাংক পাবে আর নৌবাহিনী পাবে নতুন ১৭টি জাহাজ।
নতুন সংযোজনের কারণে প্রয়োজন নতুন জনবল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শোইগু জানান, এখন আরো এক হাজার ৩০০ জন পাইলট প্রয়োজন। যা আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে নিয়োগ করা হবে।
শোইগু জানান, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কাছে এখন দুই হাজার ড্রোন আছে। ২০১১ সালে ছিল মাত্র ১৮০টি।