শিক্ষিকাকে নিয়ে পালিয়েছেন, হবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টও?
স্কুলজীবনে দুটি ইচ্ছে ছিল ইমানুয়েল ম্যাকরোঁর। একটি নাটকের শিক্ষককে বিয়ে করা, অন্যটি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হওয়া। সে সময় লোকজন ইমানুয়েলকে পাগল বলে আখ্যা দিত। যদিও স্কুলের পাগলামিটাকেই বাস্তব রূপ দিয়েছেন ইমানুয়েল। বিয়ে করেছেন অসম বয়সী স্কুলশিক্ষিকা ব্রিজিও থনিওকে। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠেয় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটে জয়ী হলে তাঁর দ্বিতীয় ইচ্ছাটিও পূরণ হবে।
ফ্রান্সে ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মধ্যপন্থী নেতা ইমানুয়েল। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টর ডানপন্থী নেত্রী মারি লো পেন পেয়েছেন ২১ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। ৭ মের ভোটে এই দুজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে দিনশেষে ইমানুয়েলই শেষ হাসি হাসতে পারেন বলে আভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
ডেইলি মেইলের কলামিস্ট জ্যান মইরকে লেখা একটি চিঠিতে বিয়ে ও বিভিন্ন অভিব্যক্তি নিয়ে কথা বলেছেন ইমানুয়েল। তিনি জানান, মাত্র ১৫ ব্ছর বয়সে ৪০ বছর বয়সী ব্রিজিতের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই সময় ব্রিজিতের প্রতি ইমানুয়েলের ভালোবাসাটা ছিল অনেকটাই স্বপ্নিল; লক্ষ্যহীন এক কিশোরের অসম প্রেম। কিন্তু ব্রিজিতের প্রতি সেই ভালোবাসাটা ধীরে ধীরে গাঢ় হতে থাকে। একপর্যায়ে ব্রিজিতকে বিয়ের বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন ইমানুয়েল। ঘটনার পরম্পরায় ফোনে কথোপকথনও হতো দুজনের। কিন্তু শুরুতে অসম বয়সী প্রেমের বেদনাদায়ক পরিণতির বিষয়ে ইমানুয়েলকে সতর্ক করতেন ব্রিজিত। কিন্তু এর পরও প্রেম মানেনি কোনো বাঁধন।
১৮ বছর বয়সে ব্রিজিতের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম শুরু করেন ইমানুয়েল। ২০০৭ সালে ব্রিজিতকে বিয়ে করেন ইমানুয়েল। সে সময় ইমানুয়েলের ৩০ বছরের বিপরীতে ব্রিজিতের বয়স ছিল ৫৫।
ইমানুয়েল জানান, ৪০ বছর বয়সে আগের স্বামীপক্ষের তিন সন্তান থাকার সময়ে ব্রিজিতের হৃদয়ে স্থান করে নেন তিনি। তাঁর সঙ্গে প্রেম না টিকতে মা-বাবা তাঁকে (ইমানুয়েল) নিজ এলাকার বাইরে প্যারিসে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরও সব বাধা কাটিয়ে একদিন তাঁর হাত ধরে পালিয়ে যান ব্রিজিত। এভাবেই অসম বয়সী একটি পরিনয় লাভ করে প্রণয়। প্রথম স্বপ্ন পূরণ হয় ইমানুয়েলের। দ্বিতীয় স্বপ্ন বাস্তবায়ন থেকে এক চুল দূরে তিনি। আর তা সম্ভব হলে
অভূতপূর্ব এক ফার্স্ট লেডিকে দেখবে বিশ্ব।