লন্ডন হামলার পর সাহায্যে এগিয়ে আসে মুসলমানরাই
লন্ডনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর আক্রান্তদের সাহায্যে সবার মতো এগিয়ে এসেছে মুসলমানরা।
হামলার পর মুসলমানদের এগিয়ে আসার কথা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, হামলার পর মুসলিম গাড়িচালকরা নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। স্থানীয় মুসলিম দোকানিরা খাবার ও আশ্রয় দিয়ে সহায়তা করেছেন।
জেস স্মিথ নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী টুইটে লিখেন, ‘হামলার পর একজন মুসলমান ট্যাক্সিচালক আমাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। এই হামলার জন্য ঢালাওভাবে সবাই যে মুসলিমদের দায়ী করছে তা ঠিক নয়।’ জেস আরো বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের কোনো ধর্ম নেই।’
হামলার সময় ঘটনাস্থলে থাকা আরেক নারী মুসলিম গাড়িচালকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘তিনি (মুসলিম চালক) আমাকে এই নারকীয় পরিস্থিতি থেকে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসেন।’
গক্সিরেড নামের আরেক টুইটার ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, হামলার পর পুরো এলাকায় প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। অসহায় এই পরিস্থিতিতে একজন মুসলিম দোকানদার তাকে খাবার ও থাকার জায়গা করে দেন।
ইউটিউবার লাক কাটফোর্থ বলেন, ‘গণহারে সব মুসলিমকে এই সন্ত্রাসবাদের জন্য দায়ী করা অনেকটা সব পুরুষকে সন্ত্রাসবাদের জন্য দায়ী করার মতো। বেশির ভাগ সন্ত্রাসীই তো পুরুষ, আপনি কি এই দায়ে সব পুরুষকে নির্বাসনে পাঠাবেন?’
মানবাধিকারকর্মী ও লেখক আলেশা যুক্তরাজ্যের বাসিন্দাদের বাছবিচারহীনভাবে মুসলিমদের দায়ী করার বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ‘ব্রিটিশ মুসলিমরাও এ হামলার পর অমুসলিমদের মতো আতঙ্কিত। এটা আমাদেরও দেশ। আমি বুঝি সবাই এখন রেগে আছেন কিন্তু এই ঘৃণার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’