মসজিদ ধ্বংস কী আইএসের পরাজয়ের বার্তা?
ইরাকের ‘আল-নুরি’ মসজিদ থেকেই ২০১৪ সালে আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি প্রথম ‘খিলাফত’ ঘোষণা করেছিলেন। এখান থেকেই শুরু হয়েছিল আইএস মহারথ। তাই এ মসজিদকে আইএসের ‘আঁতুড় ঘর বললেও খুব একটা ভুল বলা হবে না। কিন্তু অভিযোগ ওঠে আইএস-ই নাকি সেই মসজিদ উড়িয়ে দিয়েছে।
এ ঘটনা যেমন রহস্যের সৃষ্টি করে, তেমন আইএসের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধও হয়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে তবে কী আইএস তাদের আনুষ্ঠানিক পরাজয় মেনে নিয়েছে? ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি অবশ্য এমনটাই বলছেন। তিনি বলেন, ‘এটা আইএসেরর পরাজয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ।’
ইরাকের সেনাবাহিনীর দাবি, আইএস-ই আট শত বছরের পুরোনো এ মসজিদটি ধ্বংস করেছে।
অবশ্য আইএস বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি আমেরিকার বিমান হামলায় এ মসজিদটি ধ্বংস হয়েছে।
ইরাকে অবস্থানরত এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন সেনা কমান্ডার মাজ জেন জোসেফ মার্টিন জানান, আইএস এর আগেও ইরাক ও মসুলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন, ‘এটা মসুল তথা গোটা ইরাকের মানুষের বিরুদ্ধে করা বড় অপরাধ। এটা (আল-নুরি মসজিদ উড়িয়ে দেওয়া) এই নিষ্ঠুর সংগঠনের বিলুপ্ত হওয়ার অন্যতম উদাহরণ।’
মার্টিন আরো জানান, সরকার সমর্থথিত সেনারা মসুল দখলে নিয়ে যখন ওই মসজিদের ৫০ মিটারের মধ্যে পৌঁছায়। তখন তারা এ ঘটনা ঘটায়।
একে ‘ঐতিহাসিক অপরাধ’ অ্যাখ্যা দিয়ে মার্টিন বলেন, ‘এটাই তাদের শেষ অধ্যায়।’