কাতার সংকটের নেপথ্যে আরব আমিরাত!
কাতারের সরকারের সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যম ‘হ্যাক করে তা থেকে মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে দেয়’ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর এটা থেকেই কাতার এবং কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে সংকটের সূচনা হয়। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
তবে ওয়াশিংটন নিযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস ওয়াশিংটন পোস্টের সংবাদ ‘ভুল’ বলে বিবৃতি দিয়েছে। একই সঙ্গে হ্যাকিংয়ে দেশটি কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দেওয়া হয়েছে, তবে তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এতে বলা হয়, আরব আমিরাত সরকারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা গত ২৩ মে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। এর পরদিন কাতারি নিউজ এজেন্সিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে তিনি ইরানের প্রশংসা করেন এবং ইসরাইলের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক ভালো বলে জানান। একই সঙ্গে উত্তেজনাকর বক্তব্য সংবাদ সংস্থাটির টুইটারে দেখা যায়।
এর পরই সংবাদ সংস্থাটি জানায়, তারা হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে এবং সংবাদটি সরিয়ে ফেলা হয়। তবে এরই পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিসর—এরা সবাই কাতারের সংবাদমাধ্যম বর্জন করে এবং পরে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
এদিকে, চলমান এই সংকট ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের যুদ্ধকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। কেননা এই জোটের ১০ হাজারের বেশি সেনাসদস্য কাতারে অবস্থান করছেন।
তবে এতকিছুর পরেও কাতারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন সিবিএন নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।