গ্রিসের পার্লামেন্টে বেলআউট চুক্তি পাস অনিশ্চিত
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/14/photo-1436850106.jpg)
দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ইউরোজোনের সঙ্গে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার (বেলআউট) চুক্তি সম্পন্নের পর নিজের দেশেই সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস। তাই আগামীকাল বুধবার গ্রিসের পার্লামেন্টে শর্ত সাপেক্ষে করা এই চুক্তি পাস করানো কঠিন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদি এই চুক্তি ব্যর্থ হয়, তাহলে গ্রিসের ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং দেশটিকে ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।
কয়েকটি শর্তে ইউরোজোনের সঙ্গে চুক্তি করায় ক্ষমতাসীন জোট, নিজের দল ও দলের বাইরে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী। এটিকে অনেকে ‘অবমাননাকর’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন। কর বৃদ্ধি, পেনশন কমানো, চাকরিবিধিতে পরিবর্তন আনার শর্তে দাতারা গ্রিসকে তৃতীয় দফায় ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যানোস কামিনোস বলেছেন, তিনি এই পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানাবেন না। প্যানোস জোট সরকারের একটি ছোট শরিক দলের নেতা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি দেশের অর্থমন্ত্রীরা স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রিসের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসবেন।
এদিকে ইউরোজোনের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, গ্রিসের জন্য নতুন প্রণোদনা প্যাকেজটি কার্যকর করতে আরো চার সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
গতকাল সোমবার ইউরোজোনের প্রেসিডেন্ট জেরোয়েন ডিসেলব্লোয়েম বলেছেন, গ্রিসকে কীভাবে দ্রুত সাহায্য দেওয়া যায়, তা নিয়ে ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রিসের প্রতিশ্রুতিগুলোর সঙ্গে মিল রেখেই তা করা হবে। তিনি জানান, গ্রিস ও ইউরোজোনের নেতারা সমঝোতায় পৌঁছালেও সংকট নিরসনের চাবিকাঠি এখনো হাতে পাওয়া যায়নি। এ জন্য আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
টানা ১৭ ঘণ্টা আলোচনার পর স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ঋণদাতারা গ্রিসের সঙ্গে বেলআউট চুক্তিতে পৌঁছায়। চুক্তি অনুযায়ী গ্রিস ঋণদাতাদের কাছে আট হাজার ৬০০ কোটি ইউরো সহায়তা পাবে। আর্থিক সংকট থেকে পুনরুদ্ধারে ২০১০ সালের পর থেকে এ নিয়ে তৃতীয় দফায় ঋণ দেওয়া হলো দেশটিকে।