এবার যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ামে হামলার হুমকি দিল উত্তর কোরিয়া। গতকাল মঙ্গলবার জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের একদিন পরই দেশটি এই ঘোষণা দিল।

আজ বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, গত মঙ্গলবারের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ছিল এই অঞ্চলে উত্তর কোরিয়া সামরিক বাহিনীর প্রথম পদক্ষেপ। এর ধারাবাহিকতাতেই যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ামে আরো সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের ওপর দিয়ে উত্তর কোরিয় এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক অনুশীলনের জবাব।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম অঞ্চলের ওপর দৃষ্টি দিয়ে আসছে। ২০১৩ সালে গুয়ামে প্রথম হামলার হুমকি দেয় উত্তর কোরিয়া। চলতি মাসের শুরুতে দেশটির ওপর অবরোধ দেওয়া হলে আবারও গুয়ামে হামলার হুমকি দেয়।

তবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে গুয়াম কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘আমরা উত্তর কোরিয়ার আগের কর্মকাণ্ড দেখেছি। এটা তাদের যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাদের মিত্র দেশগুলোর প্রতি একধরনের প্রতিক্রিয়া। আমরা উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে আরো সচেতন কথাবার্তা ও কার্মকাণ্ড প্রত্যাশা করি।’

তবে জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ বলছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘উদ্ভুত পরিস্থিতির সব সমাধানই আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া কী বার্তা দিতে চায় তা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। এর মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়া তার প্রতিবেশী দেশ এবং জাতিসংঘের অন্যসব দেশকে অবজ্ঞা করছে।’

এই হামলার পর আবারও উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।