মানবপাচার রোধে মানদণ্ড রক্ষা করতে পারেনি বাংলাদেশ

জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ ন্যূনতম মানদণ্ড রক্ষা করতে পারেনি। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবপাচার-সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) শীর্ষক এই বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন (পিএসএইচটিএ) প্রণয়ন করলেও বিধি চূড়ান্ত করেনি।
প্রতিবেদনে ১৮৮টি দেশের মানবপাচার-সংক্রান্ত পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। দেশগুলোকে চারটি বিভাগে বিভক্ত করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। একটি বিভাগে বাংলাদেশ গত বছরের মতো এবারো দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে। বিভাগগুলো হলো—প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর, দ্বিতীয় স্তর পর্যবেক্ষণ তালিকা এবং তৃতীয় স্তর।
এ প্রতিবেদনে মানবপাচারে ১৮টি দেশের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ১৮টি দেশের অবস্থার অবনতি হয়েছে। মালয়েশিয়ার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। থাইল্যান্ডের অবনতি হয়েছে। মানবপাচারে মালয়েশিয়ার অবস্থান এক স্তর ওপরে উঠেছে। গত বছর মালয়েশিয়ার অবস্থান স্তর-৩-এ ছিল। এ বছর দেশটির অবস্থান স্তর-২-এর পর্যবেক্ষণ তালিকায়। উভয় দেশই মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত এবং সম্প্রতি এ দুটি দেশে গণকবর পাওয়া গেছে। উদ্ধার করা লাশগুলো ছিল রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের।
ওয়াশিংটনে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, ‘টিআইপির এ প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিটি মহাদেশে মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইকারীদের শক্তিাশালী ও ক্ষমতায়ন করা।’ তিনি বলেন, ‘এটি অর্থের বিরুদ্ধে লড়াই, এটি মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই।’