জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সেনাদের দখলে
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/11/15/photo-1510716858.jpg)
জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারের চারপাশে অবস্থান নিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জিম্বাবুয়ে ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (জেডবিসি) দখলে নিয়েছেন সেনাসদস্যরা।
৯৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের নেতৃত্বাধীন জেডএএনইউ-পিএফ সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনার পর বুধবার অভ্যুত্থানের এই পূর্বাভাস দিল সেনারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, জেডএএনইউ-পিএফ পার্টিতে মিত্রদের আকস্মিক অপসারণের বিষয়ে মঙ্গলবার হস্তক্ষেপের হুমকি দেন সেনাপ্রধান জেনারেল কনস্টান্টিনো চিওয়েঙ্গা। এর ২৪ ঘণ্টা পরই রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে সেনাদের সাঁজোয়া যান চলতে দেখা যায়।
বিক্ষুব্ধ সেনারা রাস্তায় চলন্ত গাড়িগুলো অন্ধকারে চলতে বলে। হারারের একটি রাস্তায় রয়টার্সের প্রতিবেদককে এক সেনাসদস্য বলেন, ‘কোনো কিছু বিনোদন মনে করবেন না। এখান থেকে সরেন।’
ওই বক্তব্যের মাত্র দুই ঘণ্টা পর সেনারা জেডবিসির দখল নিয়ে কর্মীদের কর্মস্থল ছাড়ার নির্দেশ দেয়। ওই সময় কয়েকজনকে হেনস্তা করা হয় বলে রয়টার্সকে জানান টেলিভিশনের দুজন কর্মী ও এক মানবাধিকারকর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, টেলিভিশন দখলে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশটির প্রাণকেন্দ্রে তিনটি বিস্ফোরণ হয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে’ জেডবিসি দখলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে সেনাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টেলিভিশন দখলের মানে ‘সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল নয়’। ৩৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট মুগাবে ও তাঁর পরিবার পুরোপুরি নিরাপদে আছে।
এর আগে মিত্র দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রদূত আইজ্যাক মোয়ো সামরিক অভ্যুত্থান নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, সরকার ‘অক্ষত’ আছে।