কঙ্গোতে ‘মানবিক কারণে’ বিদ্রোহীদের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/04/congo.jpg)
পূর্ব কঙ্গোতে সক্রিয় বিদ্রোহী জোট কঙ্গো রিভার অ্যালায়েন্স ‘মানবিক কারণে’ আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। খবর বিবিসির।
এক বিবৃতিতে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীসহ কয়েকটি বিদ্রোহী দল এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। তারা বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব কঙ্গোর বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মানবিক সংকটের কথা বিবেচনা করেই তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব কঙ্গোর প্রধান শহর গোমা দখলের পর সাম্প্রতিক লড়াইয়ে অন্তত ৯০০ জন নিহত এবং দুই হাজার ৮৮০ জন আহত হয়েছে।
এদিকে, জি-৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কঙ্গোতে চলমান বিদ্রোহী হামলাকে দেশটির সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে।
বিদ্রোহী জোটটি দাবি করেছে, কঙ্গোর সামরিক বাহিনী বিমান হামলার মাধ্যমে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বেসামরিক মানুষ হত্যা করছে। তবে তারা বলছে, নতুন করে কোনো অঞ্চল দখলের পরিকল্পনা তাদের নেই, যদিও এক সপ্তাহ আগেই ভিন্ন বার্তা দিয়েছিল তারা।
এক বিবৃতিতে জোটটি বলেছে, ‘আমরা বেসামরিক জনগণের সুরক্ষা এবং নিজেদের অবস্থান রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
গত তিন বছরে পূর্ব কঙ্গোর সংঘাতে লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকেই নতুন করে চার লাখের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/02/04/congo_inner.jpg)
এদিকে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো রুয়ান্ডার ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছে।
কঙ্গোর যোগাযোগমন্ত্রী প্যাট্রিক মুয়ায়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি রুয়ান্ডার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু নিন্দাই নয়, রুয়ান্ডাকে থামানোর জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি আফ্রিকা ও এই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে হয়, তবে এটি গ্রহণযোগ্য নয়।’