জিম্বাবুয়েতে সেনাশাসন চান না বিরোধীদলীয় নেতা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/11/17/photo-1510898328.jpg)
জিম্বাবুয়েতে তিন দশক ধরে প্রেসিডেন্ট থাকা রবার্ট মুগাবের পদত্যাগ চেয়ে বক্তব্য দিলেও সেনাশাসন দেখতে চান না বলে জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা মরগান সভাঙ্গিরাই।
দেশটির ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে যাওয়ার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সভাঙ্গিরাই এই অবস্থানের কথা জানান।
বিরোধী দলের এ নেতা বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে মুগাবেকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে এবং ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।’
নিজেকে গণতন্ত্রপন্থী বলে দাবি করে সভাঙ্গিরাই বলেন, অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতার দখল তিনি কোনোভাবেই সমর্থন করেন না। জিম্বাবুয়ের বর্তমান সংকট কাটাতে হলে সবাইকে নিয়ে সংবিধান অনুযায়ী শাসনক্ষমতা চালাতে হবে।
সভাঙ্গিরাই আরো বলেন, দেশে অভ্যুত্থান হলেও সেনাবাহিনী সরকার চালাচ্ছে না। জিম্বাবুয়েতে বর্তমানে একটি বৈধ প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা প্রয়োজন। আর জনগণের ভোটের মাধ্যোমেই সেটা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
জিম্বাবুয়েতে মুগাবের জেডএএনইউ-পিএফ পার্টির পর সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ সভাঙ্গিরাইয়ের মুভমেন্ট ফর ডেমোক্র্যাটিক চেঞ্জ পার্টি (এমডিসি)।
মুগাবের ক্ষমতায় থাকা না থাকা নিয়ে জিম্বাবুয়ের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিন্ডাই বিটি বলেন, ‘মুগাবে আর টিকতে পারবেন না। কারণ আইন লঙ্ঘন করে একটি গোষ্ঠী তাঁকে ক্ষমতা থেকে নামাতে চাচ্ছে। আর সেটি খুবই বাজে হবে। আর সেটাই যে হতে যাচ্ছে, এটা বুঝতে রকেট বিজ্ঞানী হতে হয় না।’
মুগাবের একচ্ছত্র আধিপত্যে থাকা জিম্বাবুয়েতে রাজনৈতিক সংকটের শুরুটা হয়েছিল গত সপ্তাহে। স্ত্রী গ্রেসকে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে আনা ও পরে প্রেসিডেন্ট করার পথ সুগম করতে ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন ন্যাংগাগোয়াকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। আর তাতেই চটে গিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী।