নতুন নির্বাচনের কথা ভাবছেন মেরকেল
জার্মানিতে ত্রিপক্ষীয় জোট সরকার গঠনের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর নতুন নির্বাচনের কথা ভাবছেন দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। এ ছাড়া চ্যান্সেলর পদ থেকে এখনই পদত্যাগ করছেন না তিনি।
জার্মানিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের কোনো দল। ফলে সরকার গঠনে বহুদলীয় নতুন জোট গঠনের চেষ্টা চালায় মেরকেলের দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস (এসপিডি)। আলোচনাও এগোচ্ছিল সেদিকে। তবে শেষমুহূর্তে এসে ভেস্তে যায় জোট গঠনের প্রক্রিয়া।
বিবিসির খবরে বলা হয়, জার্মান সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের ৬০ দিনের মধ্যে সরকার গঠন করতে হবে। না হলে আয়োজন করা হবে নতুন নির্বাচনের। এদিকে সময় প্রায় শেষ হলেও গঠন হয়নি সরকার। তাই সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হতে পারে নির্বাচন। চ্যান্সেলর হিসেবে মেরকেলের ১২ বছরের শাসনামলে এটাই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জপূর্ণ সময় বলে ধরা হচ্ছে।
জার্মানির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেরকেল বলেন, ‘যেমনটি ধারণা করা হচ্ছিল, সে অনুযায়ী সরকার গঠন বেশ শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
জার্মান চ্যান্সেলর জানান, আগে থেকেই ‘সংখ্যালঘু’ সরকার নিয়ে সন্দিহান ছিলেন তিনি। তাই নতুন নির্বাচনই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে নতুন নির্বাচনকে মোটেও ভয় পান না বলে জানিয়েছেন এসপিডি নেতা মার্টিন শুলজ।
জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার বর্তমান অবস্থাকে রাজনৈতিক সংকট উল্লেখ করে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বিবেচনা’র আহ্বান জানিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে একক সরকার গঠনের জন্য কম ভোট পায় অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের দল এসপিডি। প্রয়োজনের তুলনায় কম ভোট পায় জোট সরকারের আরো দুই শরিক দল। সরকার গঠন করতে তাই নতুন জোটের শরিক হিসেবে ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি ও পরিবেশবাদী সবুজ দলের সঙ্গে আলোচনা চলে। চার সপ্তাহ পর গত রোববার রাতে ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে গেলে জোট সরকার গঠনের আলোচনা ভেঙে যায়।