ড্রোনে করে কারাগারে পর্নো ডিভিডি মাদক!

কারাগারে মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র বা পর্নো ডিভিডি দরকার। কড়া নিরাপত্তার কারণে কেউ সশরীরে এসব অবৈধ পণ্য নিয়ে কারাগারে পৌঁছে দিতে পারবে না। উপায় আধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন। কারণ, কারাগারে আকাশপথে তো আর কড়া নিরাপত্তা থাকে না।
এমনটাই ভেবেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের দুই ব্যক্তি। ড্রোনের মতো দূরনিয়ন্ত্রিত উড়ন্ত যান দিয়ে মেরিল্যান্ড কারাগারে মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র ও পর্নো ডিভিডি পাচারের চেষ্টা করেছিল তারা। কিন্তু বিধিবাম! দুজনই হাতেনাতে ধরা পড়েছে। গতকাল সোমবার কারাগার কর্তৃপক্ষ এ খবর জানিয়েছে।
কারাগার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, শনিবার দুই ব্যক্তিকে কারাগারের পাশের একটি রাস্তায় দূরনিয়ন্ত্রিত উড়ন্ত যানসহ আটক করা হয়। কর্তৃপক্ষ ওই যানটিকে ড্রোন বলেই অভিহিত করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন, কারাগারের এত কাছে নিশ্চয় ড্রোন নিয়ে খেলতে আসেনি তারা। পরে ওই ব্যক্তিদের গাড়িতে পাওয়া যায় মারিজুয়ানা, তামাক, পর্নো ডিভিডি ও হ্যান্ডগান।
দুই ব্যক্তির গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও পর্নো ডিভিডিসহ ড্রোনের ছবি কারাগার কর্তৃপক্ষের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা হয়।
ড্রোনে অবৈধ পণ্য কারাগারে পাঠানোর প্রচেষ্টা মেরিল্যান্ডে এটিই প্রথম। আর এমন ঘটতে পারে সন্দেহে ওই ব্যক্তিদের ওপর আগে থেকেই নজরদারি করা হচ্ছিল।
মেরিল্যান্ড কারাগারের মুখপাত্র গতকাল সোমবার সিএনএনকে বলেন, আটক দুই ব্যক্তির কাছ থেকে কারাগারে থাকা তাদের সহযোগীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ড্রোনে করে কারাগারে অবৈধ পণ্য পাঠানোর ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে গত মাসে ওহাইওর ম্যানসফিল্ড কারাগারে একটি ড্রোন থেকে ১৪৪ দশমিক ৫ গ্রাম তামাক, ৬৫ দশমিক ৪ গ্রাম মারিজুয়ানা ও ৬ দশমিক ৬ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। গার্ডদের ফাঁকি দিয়েই তা কারাগারের পাশে মাঠে পৌঁছে যায়। তবে কারাভোগকারীদের জটলা দেখে গার্ডদের সন্দেহ হয় এবং ওই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। পরে কারাগারের সিসিটিভিতে ড্রোনে মাদক পাচারের বিষয়টি ধরা পড়ে।